কিশোরগঞ্জ-টেংগনমারী সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে শুরুতেই অনিয়ম

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় টেংগনমারী কিশোরগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । সড়কটির বক্সকাটিং করার পর , ইমপ্রুফ সাবগ্রেট ও সাববেজ করার সময় নি¤œমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ওই সড়কে ৫ টি আর সিসি কার্লভাট নির্মাণে রড ও পাথরের কাজে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, টেংগনমারী থেকে কিশোরগঞ্জ থানামোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ১২ ফিট প্রস্থ্যের সড়কটি ১৮ ফিটে উন্নিত করার জন্য ২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৬ টাকা বরাদ্দ ধরে দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।   এ প্রকল্পের  উদ্ধোধন করা হয়  ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর।  কাজ শুরু করার কথা ছিল ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শুরু না করে কালক্ষেপন করে কাজ শুরু করেন ২০১৯ সালের ফ্রেব্রয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
  এতে করে এলাকাবাসীর  ভোগান্তি বাড়ছে  বলে অভিযোগ করেছেন প্রকল্প এলাকার লোকজন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুটিমারী শ্বশান বাজারের সন্নিকটে সড়কের উপর  আর সি সি কালভার্টের সলিং ঢালাইয়ের  কাজ চলছে ।  কালভার্টটির সলিং ঢালাই চলাকালিন সময়ে সেখানে তদারকি কর্মকর্তাকে খুঁজলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় কথা হয় প্রকল্প এলাকার আবুজার রহমান, বরকত উল্লাহ , সোনা মিয়া, জাফর আলী সহ অনেকের সাথে তারা সবাই অভিযোগ করে বলেন, সড়ক  প্রশস্তকরন কাজের এখন পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার  সড়কে প্রথম লেয়ারে সাববেজ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব কাজে প্রথম শ্রেনীর ইট অথবা পিকেট ইটের  ৬ভাগ খোয়া ও ৪ ভাগ মানস¤œত বালু দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি নি¤œমানের খোয়া মিশেল করে ও স্থানীয় নদী থেকে মাটি মিশ্রিত মিহি বালু দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও বক্স কাটিংয়ের পর দুই লেয়ারে এক ফিট বালু দিয়ে মজবুত একটি ইমপ্রুভ সাবগ্রেট তৈরী করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছেনা। ফলে সড়কের স্থায়ীত্ব কমে যাওয়ার আশংকা করছে তারা। তারা আরো বলেন, ওই ১০ কিলোমিটার সড়কে আর সি সি  ৫ টি কালভার্ট নির্মান করা হচ্ছে । এসব কালভার্ট  নির্মান কাজে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় ঢালাইয়ের সময় মান স¤œত পাথরের সাথে মরা এবং পরিত্যাক্ত পাথর মিশিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ঠিকাদার মোস্তাফা কামাল রোকনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সড়কের নির্মান কাজে খোয়া তৈরীর  জন্য ৭ লাখ ইট আনা হয়েছে। ভাটা থেকে ইট আনার সময় কিছু নি¤œমানের ইট আসতে পারে । তাছাড়া সড়ক নির্মাণের তিন বছর সময় পর্যন্ত ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,সড়কের নির্মাণ কাজ চলাকালিন সময়ে এবং  কালভার্ট ঢালাইয়ের সময় আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলাম ।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3160621695138124409

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item