কিশোরীগঞ্জে মৎস্য অধিদপ্তরের বরাদ্দ আসার আগেই পুকুরের খনন কাজ শুরু

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরীগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ  উপজেলায় সরকারী তিনটি জলাশয়  খননের বরাদ্দ আসার আগেই  দুই তৃতীয়াংশ   খননকাজ শেষ করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের একটি দালাল চক্র। ফলে জলাশয় তিনটির খননকাজে  ব্যাপক দুর্নীতির আশংঙ্কা করছেন এলাকাবাসীসহ মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যগণ। 
নীলফামারী জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর  ভেস্মির বিল খননের জন্য  ১০ লাখ টাকা,বাহাগিলি  আর্দশ গ্রামের পুকুর খননের জন্য ৬ লাখ টাকা  এবং কিশোরগঞ্জ কেশবা গুচ্ছগ্রাম আদর্শ পুকুর খননের জন্য ১৪ লাখ টাকা ধরে মোট ৩০ লাখ টাকা সম্ভাব্য ব্যায়ের  চাহিদা দেয়া হয়।  কিন্তু উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের দালাল চক্রের মুলহোতা ওয়াদুল আলী ও শ্রী লক্ষন চন্দ্র রায় রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মের সাথে  গোপনে যোগসাজস করে  নিতাই ইউনিয়নের ভেস্মির বিল ও কিশোরগঞ্জ কেশবা গুচ্ছগ্রাম পুকুরের দুই তৃতীয়াংশ  খনন কাজ শেষ করেছে। কিশোরগঞ্জ কেশবা  গুচ্ছগ্রাম পুকুরের খনন কাজের সময় ওই প্রকল্পভুক্ত মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের সাথে দালাল চক্রটির হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এদিকে বাহাগিলি আদর্শ গ্রাম পুকুরের খনন কাজ করতে গেলে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের বাঁধার মুখে খনন কাজ শুরু করতে পারেনি দালাল চক্রটি।
প্রকল্প এলাকার সাজেদুল ইসলাম, এমদাদুল হক, সৈয়দ আলী, ভরত চন্দ্র সহ আরো অনেকেই বলেন, পুকুর রক্ষনা বেক্ষনের জন্য একলটি করে কমিটি আছে । ওই কমিটির সদস্যরাই পুকুর খনন কাজ করবে সরকারীভাবে এরকম নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে দালাল চক্রটি পুকুরের খনন কাজ করছে। 
পুকুর খননকারী দালাল চক্রটির মুল হোতা ওয়াদুদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা সরকারিভাবে  জলাশয় তিনটির খনন কাজের অনুমোদন নিয়েছি এবং নিজস্ব অর্থায়নে তা বাস্তবায়ন করছি। সরকারী বরাদ্দ আসলে নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দ উত্তোলন করে নেব।
রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জলাশয় তিনটির খনন কাজের জন্য বরাদ্দের  চাহিদা  পাঠানো হয়েছে । বরাদ্দ পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী কাজ বুজে নেয়া হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাসেমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পুকুর খননের জন্য সরকারী বরাদ্দ না আসলেও পুকুর খনন করার নিয়ম রয়েছে, তবে সরকারী বরাদ্দ আসার পর নীতিমালা অনুযায়ী পুকুরের খনন কাজ বুজে নেয়া হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি পুকুর খননের জন্য মোট ৩০ লাখ টাকা সম্ভাব্য বরাদ্দ রয়েছে, তবে সরকারীভাবে আমি এখোনো কোন চিঠি পাইনি।  

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5351157167455076974

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item