হরিপুরে কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগ- উদ্বিগ্ন চাষী

জে.ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও (প্রতিনিধি)ঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগ ব্যাপক হারে দেখা দেওয়ায় দুশ্চিতায় পরেছেন কাঁঠাল চাষীরা। এ রোগ প্রতিকার সম্পর্কেও তারা ভালো ভাবে জানেন না। ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এপ রোগ দেখা দিয়েছে।
তবে কৃষিবিদের মতে, দেশের প্রায় সব অঞ্চলে প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হলেও বড় একটি অংশ মুচি পঁচা রোগে নষ্ট হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৫০ প্রজাতির কাঁঠাল রয়েছে। এসব প্রজাতির অনেক গাছেই খাওয়ার উপযোগী উৎপন্ন করে। এ ফল কাচা ও পাকা দুই অবস্থাতে এ দেশে খাওয়া হয়।
কৃষি অফিস আরো জানায়, এ জাতীয় ফলের ১৩ টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছত্রাকজনিত,একটি ভাইরাসজনিত,একটি শেওলাজনিত,একটি পরগাছাজনিত,এবং ২টি শরীরবৃত্তীয় কারণজনিত রোগ। এ দেশের ডিসম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত কাঁঠাল গাছে ফুল বা মুচি আসতে শুরু করে। এসব মুচি থেকে কাঁঠাল হয়। মুচির মধ্যে মেয়ে মুচি ও ছেলে মুচি রয়েছে। ছেলে মুচি থেকে কাঁঠাল হয় না। পরাগায়নের পর ছেলে মুচিদের কাজ শেষ হয়। মেয়ে মুচি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে ছেলে মুচিরা শুকিয়ে বা পঁচিয়ে ঝড়ে পরে।
সমস্যা হল যখন ছেলে-মেয়ে মুচি নির্বিচারে পঁচতে শুরু করে আর এটি হয় রোগের কারণ। রোগটির নাম কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগ।
আফাজ উদ্দীন নামে এক কাঁঠাল চাষি জানান, কাঁঠালের মুচি পঁচা রোগের লক্ষণও এ রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে প্রতি বছর বড় ধরনের উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। চলিত বছর আমার কাঁঠাল গাছে ব্যাপক হারে মুচি পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। তাই এবার উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছি।
উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের মফিজুল, সামিরুল ও হাপিজুল জানান, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে কাঁঠাল গাছে মুচি আসার পর থেকে ফল বড় হওয়া পর্যন্ত ৩ বার নিয়মিত কীটনাশ স্প্রে করি। তাতে ভালো ফল পেয়েছি। তাই এ বছরেও একই পদ্ধতি মেনে চলব। পঁচা মুচি মাটিতে না ফেলে কাঁঠাল অনেক দূরে নিরাপদ স্থানে মাটিতে পুঁতে ফেললে রোগ জীবাণু বেশি ছড়াতে পারবে না।
হরিপুর উপজেলা উপসহকারী (উদ্ভিদ) সংরক্ষক আব্দুল খালেক এ রোগ সম্পর্কে বলেন, এ রোগ আক্রমণ প্রথমে মুচি বা কুচি ফলের উপরে নরম ভেজা ভেজা ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে। পরে এ দাগ বড় হতে থাকে। এক সময় দাগ কালো হয়ে যাওয়ায় কালো ছাতার মতো আবরণে ঢেকে যায়। দাগ থেকে পশমের মতো অসংখ্য ছত্রাক দেখা যায়। এতে ব্যাপকভাবে মুচির পঁচন হয়। ফলে কাঁঠালচাষীরা চরম। আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন।
মুচি পঁচা রোগের জীবাণু পঁচা, আবর্জনা, কাঁঠল গাছের সরা-পচা, ডাল-পালা ও আগাছা ইত্যাদির মধ্যেপ বেঁচে থাকে। তাই কাঁঠাল গাছ ও নিচের জমি    পরিছন্ন রাখলে এ রোগ অনেক কম হয়। কাঁঠাল গাছকে নিয়মিত বয়স অনুযায়ী খাবার দিতে হবে। এছাড়াও আক্রমণ ফল ভিজা বস্তা জড়িয়ে তুলে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করতে হবে। এতে করে মুচি পঁচা রোগ অনেকাংশ কমে গিয়ে ভালো ফল হবে।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 5918550462064740162

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item