বনানীর অগ্নিকাণ্ডে রুমকী মাকসুদ দম্পতির মৃত্যুতে জলঢাকায় শোকের মাতম

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারের আগুনে রুমকি আকতার ও তার স্বামী মাকসুদুর রহমানের মৃত্যুতে নীলফামারীর জলঢাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। রুমকী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলীর ছোটভাই আশরাফ আলীর মেয়ে। তার বাড়ী কৈমারী ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ি চেংমারী এলাকায়। ও তার স্বামী মাকসুদুর রহমানের বাড়ী পুরান ঢাকায়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মাকসুদুরের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ ঢামেক মর্গে এসে তার ভাবির লাশ শনাক্ত করেন।
ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন, ঢাকার গেন্ডারিয়ায় তারা বসবাস করতেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই এফ আর টাওয়ারে অবস্থিত একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন।
রুমকির পরিবার সুত্রে জানা যায় তাদের বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে, তবে সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাদের মৃত্যুর খবর জলঢাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার প্রচুর মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্তনা দিতে আসে।
 নিহত রুুুমকির চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বাবু তার ফেসবুক ওয়ালে তাদের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে লেখেন - আজ দুজনেই (রুমকী ও মাকসুদ)  বনানী এফআর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের ভয়াল গ্রাসে আক্রান্ত হয়ে ইহলোকের সকল মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে আমাদের পরিবারের প্রতিটি মানুষকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে এই দুনিয়ার  মায়া ত্যাগ করে চিরতরে চলে গেছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ম তলায় আগুনের সুত্রপাত হলে ১৯ জনের মৃত্য ও ৭০ জন আহত হয়। এতে রুমকী ভবনে আটকা পরে নিহত হয় ও তার স্বামী মাকসুদ বাচার তাগিদে নিচে ঝাপ দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।এছাড়া ডিএমপির পক্ষ থেকে আরো বাকিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6168049128484556314

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item