ঠাকুরগাঁও বাড়ছে প্রতি বছর মরিচ চাষ

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধিঃ  ঠাকুরগাঁও  সদর উপজেলা গুলোতে  মরিচ  চাষ করে দিন ফিরেছে ঠাকুরগাঁঁও জেলার অনেক কৃষকের। মসলা জাতীয় অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে অল্প খরচে মরিচ চাষ করে কৃষক বেশি মুনাফা পাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে চাষিরা বেশ খুশি। চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকের।
উত্তারাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মরিচের হাট ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাউলার হাট। সপ্তাহে দু’দিন এই হাটে মরিচ ক্রয় করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ী আসেন। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মরিচ রপ্তানি করা হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি উর্বর ও দোআঁশ হওয়ায় মসলা জাতীয় যাবতীয় ফসল খুব ভালো জন্মে। ফলে অল্প খরচে মসলা জাতীয় ফসল ফলানো সম্ভব। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় উন্নতজাতের বীজ ও সারসহ রোগবালাইনাশক ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ। জেলার প্রায় সব এলাকায় কমবেশি মসলা জাতীয় ফসল চাষ হলেও সদর উপজেলার রায়পুর, নারগুন, জামালপুর এলাকায় মরিচসহ যাবতীয় তরিতরকারি এবং সকল প্রকার মসলা জাতীয় ফসল খুব ভালো জন্মে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা লাভবান হন বলে জানিয়েছেন আবাদিগণ।
চাষিরা মরিচ চাষ যোগ্য জমি পতিত রেখে সেখানে বছরের ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে গোবর, নানা প্রকার জৈব সার টিএসপি ও পটাশ সার প্রয়োগ করে জমিতে বীজ রোপণ করেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ উন্মুক্ত আলো বাতাসের জন্য পরিকল্পনামাফিক বেড তৈরি করে রাখেন। মরিচ চাষি আশরাফুল আলম, সাদেকুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর আগে যে জমিতে অন্যান্য ফসল আবাদ করে ১০ হাজার টাকাও আয় করা যেত না, সে জমিতে বর্তমানে মরিচসহ অন্যান্য মসলা জাতীয় ফসল চাষ করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হচ্ছে। তুলনামূলক পরিশ্রমও অনেক কম। 

পুরোনো সংবাদ

কৃষিকথা 7552119481623311934

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item