পীরগাছায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, কৃষকের মূখে হাসি

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)ঃ
রংপুরের পীরগাছায় এবার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বারি-১৪ ও বারি-১৬ সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মূখে হাসি ফুটেছে। স্বল্প খরচে অল্প সময়ে উৎপাদন বেশি হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি সরিষার আবাদ। বর্তমানে সরিষার ক্ষেতগুলো হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। এসুযোগে ফুল থেকে মধৃ আহরন করছে মৌমাছির দল।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবারে ৫শ ১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমন না করায় দ্রত বেড়ে উঠেছে সরিষার চারা। কয়েকদিন পরেই শুরু হবে সরিষার সংগ্রহের কাজ।
আমন ও ইরি মৌসুমের মাঝে অবশিষ্ট যে সময় থাকে, সে সময় কৃষকরা জমি পতিত না রেখে সরিষা আবাদের দিকে ঝুকে পড়ছে। এছাড়াও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সরিষা আবাদ করতে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। তাছাড়া জমিতে সরিষা আবাদের ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পরবর্তীতে ইরি-বোরো চাষাবাদের সময় সার ব্যবহারের খরচ কমে আসে।
কৃষকরা জানায়, অন্যান্য ফসলের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল সরিষা বারি-১৪ ও বারি-১৬ জাতের আবাদ অধিক লাভজনক। এ সরিষা উৎপাদনে সময় কম লাগার ফলে বছরে একই জমিতে অনায়াসে তিনটি ফসল চাষ করতে পারেন তারা। এদিকে স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, যদি বাজারে সরিষার ন্যায্য দাম পাওয়া যায়, তাহলে আগামীতে হাইব্রিড জাতের সরিষার আবাদ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
কৃষক আকবার আলী বলেন, আমাদের এ জমি গুলো অন্যান্য জমির চেয়ে উন্নতমানের। এই জমিতে সরিষা ফলন ভালো হয়। এক সময় আমরা পৌষ মাসে অন্য ফসল আবাদ করতাম না। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সহযোগিতায় চার-পাঁচ বছর থেকে আমরা সরিষা আবাদ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমূর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,  কৃষি বিভাগের উৎসাহ ও সহযোগিতায় কৃষকরা সরিষা চাষে এগিয়ে আসছে। অল্প সময়ে অল্প খরচ আর স্বল্প শ্রমে বেশি মুনাফা পাওয়ায় প্রতি বছরই এখানে সরিষার আবাদ বাড়ছে। এউপজেলায় ৫শ ১০হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6514944373292383776

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item