নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রচারণায় সাদিক, মাঠে নেই শাহিদ মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি॥ জটিল হয়ে পড়েছে নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন। বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহিদ মাহমুদকে চেয়ারম্যান হিসাবে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলেও যাচাই বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন উচ্চ আদালতের রায়ে মনোনয়ন বৈধতায় প্রতিক পেয়ে প্রচারণায় নেমেছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত নৌকা প্রতিক নিয়ে শাহিদ মাহমুদ ভোটের মাঠে নামতে দেখা যায়নি।
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ নীলফামারী সদরে ভোট। তফসিল অনুযায়ী ১১ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করে। ১২ ফেব্রুয়ারী বাছাই কালে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেনের মনোনয়ন পত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থীতা ফিরে পেতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করলে ১৪ ফেব্রুয়ারী শুনানী শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেয়া রায় বহাল রাখেন জেলা প্রশাসক।  অপর দিকে  ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনোনীত প্রার্থী ফয়েজ আহমেদ ১৮ ফেব্রুয়ারী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহিদ মাহমুদকে ২০ ফেব্রুয়ারী নির্বাচিত ঘোষনা করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।   
এ অবস্থায় ২৪ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন। আদালত সাদিক হোসেনের আপিল গ্রহন করে সেদিন দুপুরে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালতের যৌথ একটি বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন আদালতের রায়ের মুল কপিসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে তাকে আনারস প্রতিক দেওয়া হয়।
সাদিক হোসেন বলেন,“ বৃহষ্পতিবার সকালে প্রতিক পাবার পর আমি প্রচারণা শুরু করেছি”। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিদ মাহমুদ বলেন, অন্য কোন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী না থাকায় গত ২০ ফেব্রুয়ারী আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মহামান্য উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে তা আমি মানবো। নির্বাচন করতে হলে করবো। 
রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর আমরা সাদিক হোসেনের মনোনয়ন বৈধ করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেনকে প্রতিক বরাদ্দ দিয়েছি”। তিনি বলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিদ মাহমুদকে বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে জানিয়েছি। বিষয়টি পুনরায় আমরা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিকাল ৫টায় শাহিদ মাহমুদকে অবগত করা ।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে এ অবস্থা হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন সহ মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দি তাদের প্রচার প্রচারনা জমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2430555620472065726

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item