ডোমারে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অপ্রাকৃত লীলা কীর্তন।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে বিশ্ব শান্তি কল্পে কলিযুগের জীবের মুক্তি কামনায় ৮ম তম ২৪ প্রহরব্যাপী অখন্ড মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অপ্রাকৃত লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের খামার বামুনিয়া নাঠুয়াগঞ্জ বারোয়ারী গীতাঞ্জলি ভাগবত আশ্রম প্রাঙ্গনে সোমবার সমাপনি দিবসে সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট। পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু প্রেম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার রায়, গোলামী বেগম, সাবেক সদস্য আর্শি¦নি কান্ত রায়, সমাজ সেবক কনক কুমার রায়, লক্ষ¥ী কান্ত রায়, ধিরেন্দ্র নাথ, হরিদাস রায় প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। গত ১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ভোররাত্রী থেকে শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ অন্তে, মঙ্গলঘট স্থাপন, শুভ অধিবাস, তুলসি আরতি ও নগর পরিক্রমার মধ্যদিয়ে যজ্ঞানুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেন, পুরোহীত শংকর মুখ্যার্জী ও পুজারী সুধান্য বর্ম্মন। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৬টি দল মহানাম ও লীলা কীর্তন পরিবেশন করেন। কীর্তন দেখতে  পার্শবতী উপজেলা দেবীগঞ্জ, ডিমলা, জলঢাকা থেকে আসা হাজারো ভক্তের ঢল নামে, যেনো মন্দির প্রাঙ্গন হিন্দু সম্প্রদায়ের  মিলন মেলায় পরিনত  হয়েছে।  এদের মধ্যে নারী ভক্তদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাসহ প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরি কিশোর রায় জানান, দীর্ঘ ২০বছর যাবত এই মন্দিরে যজ্ঞানুষ্ঠান, কির্ত্তন, হিন্দু ধর্ম সভাসহ দূর্গো উৎসব পরিচালনা করে আসছি, শুধুমাত্র আর্ধিক অসশ্চলতা ও পৃষ্টপোষকতার অভাবে এধরণের অনুষ্ঠান করতে আমাদের ভিষনভাবে হিমসিম খেতে হয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি বা সরকারী ভাবে, কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পেলে আগামীতে এর চেয়ে আরো বড় ধরণের অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে তিনি আশা করেন ।