বিপিএল থেকে চিটাগংয়ের বিদায়
https://www.obolokon24.com/2019/02/bpl_4.html
অনলাইন ডেস্ক
খাদের কিনারা থেকে সেরা চারে জায়গা করে নেয়া ঢাকা ঢাইনামাইটস এবার বিদায় করে দিলো চিটাগং ভাইকিংসকে। এলিমিনেটর ৬ উইকেটে জিতে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখলো তারা।
কাজটা সহজ করে রেখেছিলেন বোলরা। চিটাগংকে অল্পতেই আটকে রেখেছিলেন। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু পায় ঢাকা। মাত্র ১৬ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান ওপেনার সুনিল নারিন। রনি তালুকদার ফেরেন ২০ রানে। তবে হিসেবি ব্যাটিং করা উপল থারাঙ্গা তুলে নেন অর্ধশতক। সাকিব আল হাসান শূন্য রানে খালেদ আহমেদের শিকার হলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়নি নুরুল হাসান এবং কাইরন পোলার্ডের।
এর আগে টিকে থাকার লড়াইয়ে ঢাকার সামনে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। সাকিব, নারিনদের ঘূর্ণিতে মাত্র ১৩৫ রান সংগ্রহ করে তারা।
মিরপুরে এলিমিনেটর ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা তার আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি নিজেও ব্যাট হতে অনুজ্জ্বল। ৮ রানে ওপেনার ইয়াসির আলীকে ফেরান রুবেল হোসেন। এরপর সাদমানের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ৩৬ রানে ডেলপোর্ট ফিরে যাওয়ার পর মুশফিকও দ্রুতই সাজঘরমুখি হন। বিপর্যয়ে পড়া দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এক পাশ আগলে লড়াই করে যাওয়া মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। আর চিটাগং থামে ১৩৫ রানে।
মূলত সুনিল নারিনের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছে চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। এদিন সাকিব আল হাসানও ছিলেন যথেষ্ট কিপটে। চার ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ১১ রান।