বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কড়া নজরদারি

বিশেষ প্রতিনিধি॥ ভারতের কাশ্মীরের পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলায় ৪৪ জন জোয়ান নিহত ও অসংখ্য আহত হবার পর ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের সীমান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে থাকা চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তারা রেড এলার্ট জারি রেখেছে।
 রবিবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) বিজিবির একটি সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় ভারত-বাংলাদেশ সীমানা জুড়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। সীমানাবর্তী প্রতিটি জেলার  বিএসএফ ও বিজিবি আলোচনার মাধ্যমে হাই এলার্ট জারি হয়েছে সীমানা এলাকায়। নীলফামারীর চিলাহাটি, লালমনিরহাটের বুড়িমারী, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, দিনাজপুরের হিলি, বেনাপোল, দর্শনা,সোনামসজিদ সহ  প্রতিটি রপ্তানি ও আমদানী কেন্দ্রে রয়েছে বিশেষ নজরদারি। সীমান্তে চলছে বিএসএফ-বিজেবির যৌথ তল্লাশি।
এতে আন্তর্জাতিক চেক পোষ্ট গুলোতে মানুষ পারাপার ও আমদানী রপ্তানীর কাজে ব্যবহৃত যানবাহনে চলছে জোর তল্লাশি। প্রতিটি গাড়িতেই চেকিং করছে নিরাপত্তারক্ষীরা।অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সেই সঙ্গে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে চলছে পুলিশি নজরদারি।
ভারতে চিকিৎসা শেষে ফিরে আসা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী জানায়  যারা শিলিগুড়ি থেকে ফুলবাড়ি ও বাংলাবান্ধা ও চ্যাংরাবান্ধা বুড়িমারী এবং হিলি  দিয়ে দেশে ফিরেছে তাদের কঠোরভাবে তল্লাশী করা হয়। এ ছাড়া তিনবিঘা কারিডোরেও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিকে ধরলা নদীর কারণে চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ ক্যা¤প থেকে পানিশালা বিএসএফ ক্যা¤প পর্যন্ত বাংলাদেশে সীমান্তে তিন কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। মেখলিগঞ্জ ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে ৬টিই বাংলাদেশ সীমান্তে। যার মধ্যে চ্যাংরাবান্ধা ছাড়াও নিজতরফ, বাগডোকরা-ফুলকাডাবরি ও কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। খোলা সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর  নজরদারি যথেষ্টই কড়া। ওপারে চ্যাংরাবান্ধা এপারে বুড়িমারী   চেক পোস্ট ও জিরো পয়েন্টে নিয়মমাফিক নিরাপত্তা রক্ষী অবশ্য রয়েছে। এই চেক পোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ মানুষ মধ্যে যাতায়াত করেন। ভারতের কুচবিহারের হলদীবাড়ি হুজুরের বার্ষিক ওরশ ও হুজুর সাহেবের মেলায় অংশ নিতে বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধা চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত গেছেন রংপুর থেকে হলদিবাড়ির হুজুর সাহেবের নাতি বাদশা হুজুর ও নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার সাবেক দুই কাউন্সিলার যথাক্রমে সেলিম হোসেন ও মইনুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। তারা জানায় কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় চেকপোষ্টে এখন খুবই কড়াকড়ি। এ ধরনের কড়াকড়ি থাকলে অবৈধভাবে কোন সন্ত্রাসী বা জঙ্গি অথবা চোরাচালান চক্ররা কোন পাত্তা পাবেনা পারাপারে। আমরা চাই এমন কড়াকড়ির মাধ্যমে নিরাপক্তা ব্যবস্থা জোড়দার থাকবে সারা বছর জুড়ে। # 

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1516516103122671443

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item