বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগ, তদন্ত করতে স্কুলে নির্বাহী কর্মকর্তা
https://www.obolokon24.com/2019/01/thakurgaon_4.html
আব্দুল আউয়াল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়ল জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি বিনামুল্যে বিতরণের দেয়া বই পেতে টাকা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমন অভিযোগের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর টনক নড়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার মোড়ল জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি বই বিতরণের সময় টাকা নেয়ার অভিযোগের তদন্ত করতে হাজির উপস্থিত হন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ। এ সময় তার সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এবং উপজেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি, বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ মুঠোফোনে সংবাদের প্রতিবেদকও ওই স্কুলে এসে অভিযোগের প্রমাণ দিতে বলেন।
প্রতিবেদক স্কুলে উপস্থিত হয়ে দেখেন, প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত অভিযোগকারী ওই স্কুলের ছাত্র জসিম উদ্দীন ও তার বাবাকে ডেকে নিয়ে স্কুলের একটি কক্ষে কয়েকশ শিক্ষার্থী, স্কুলের শিক্ষক, ৪০-৫০ জন অভিভাবক এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং প্রতিবেদকের সামনে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্কুলছাত্র জসিম উদ্দীন ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছেনইউএনও। এমন ভাবে সকলের সম্মুখে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে অন্য অভিযোগকারী নবম শ্রেণির ছাত্র হাবিব, আবু সায়েম ও রাজুকে।
তদন্ত চলাকালীন সময়ের পুর্বেই উপজেলার মোড়ল জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষকরা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে রশিদ ধরিয়ে দিয়ে বলেছেন, বইয়ের জন্য কোন টাকা নিচ্ছেন না তারা। প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগ উঠা ২৫০ টাকা সেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। যারা সেশন চার্জ পরিশোধ করেছে, তারা নতুন বই পেয়েছে। যারা সেশন চার্জ পরিশোধ করেনি, তারা নতুন বই পাইনি।
তবে সেশন চার্জ পরিশোধ করলেও তদন্ত চলাকালীন সময় পর্যন্ত নতুন বই পাইনি ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র হাবিব, আবু সায়েম ও রাজু। এ সময় দ্রুত নতুন বইগুলো শিক্ষার্থীদের বিতরণের জন্য প্রধান শিক্ষক সোলায়মান আলীকে তাগিদ দেন ইউএনও।
তদন্তের সময় প্রতিবেদককে ডেকে হয়রানী করেছেন প্রশাসনের লোকজন। এমন অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেদক। প্রতিবেদক জানায়, সাংবাদিকদের কাজ প্রমাণসহ সংবাদ সংগ্রহ করে পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরা। তদন্তের কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আবার প্রমাণও দিতে হবে। প্রশাসনের লোকজন ডেকে এনে রীতিমত হয়রানী করেছে আমাকে।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি বলেন, সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একজন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে এভাবে হেনস্তা করার ঘটনা এর আগে কোনদিন লক্ষ করিনি। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুসারে ৫শ টাকা পর্যন্ত সেশন চার্জ নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে সেশন চার্জ পরিশোধ না করলে বই পাবে না, এমন কোন নিয়ম নেই।
তদন্ত শেষ না করে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়ল জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি বিনামুল্যে বিতরণের দেয়া বই পেতে টাকা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এমন অভিযোগের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর টনক নড়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার মোড়ল জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি বই বিতরণের সময় টাকা নেয়ার অভিযোগের তদন্ত করতে হাজির উপস্থিত হন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ। এ সময় তার সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এবং উপজেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি, বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ মুঠোফোনে সংবাদের প্রতিবেদকও ওই স্কুলে এসে অভিযোগের প্রমাণ দিতে বলেন।
প্রতিবেদক স্কুলে উপস্থিত হয়ে দেখেন, প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত অভিযোগকারী ওই স্কুলের ছাত্র জসিম উদ্দীন ও তার বাবাকে ডেকে নিয়ে স্কুলের একটি কক্ষে কয়েকশ শিক্ষার্থী, স্কুলের শিক্ষক, ৪০-৫০ জন অভিভাবক এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং প্রতিবেদকের সামনে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্কুলছাত্র জসিম উদ্দীন ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছেনইউএনও। এমন ভাবে সকলের সম্মুখে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে অন্য অভিযোগকারী নবম শ্রেণির ছাত্র হাবিব, আবু সায়েম ও রাজুকে।
তদন্ত চলাকালীন সময়ের পুর্বেই উপজেলার মোড়ল জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষকরা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে রশিদ ধরিয়ে দিয়ে বলেছেন, বইয়ের জন্য কোন টাকা নিচ্ছেন না তারা। প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগ উঠা ২৫০ টাকা সেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। যারা সেশন চার্জ পরিশোধ করেছে, তারা নতুন বই পেয়েছে। যারা সেশন চার্জ পরিশোধ করেনি, তারা নতুন বই পাইনি।
তবে সেশন চার্জ পরিশোধ করলেও তদন্ত চলাকালীন সময় পর্যন্ত নতুন বই পাইনি ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র হাবিব, আবু সায়েম ও রাজু। এ সময় দ্রুত নতুন বইগুলো শিক্ষার্থীদের বিতরণের জন্য প্রধান শিক্ষক সোলায়মান আলীকে তাগিদ দেন ইউএনও।
তদন্তের সময় প্রতিবেদককে ডেকে হয়রানী করেছেন প্রশাসনের লোকজন। এমন অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেদক। প্রতিবেদক জানায়, সাংবাদিকদের কাজ প্রমাণসহ সংবাদ সংগ্রহ করে পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরা। তদন্তের কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আবার প্রমাণও দিতে হবে। প্রশাসনের লোকজন ডেকে এনে রীতিমত হয়রানী করেছে আমাকে।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি বলেন, সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একজন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে এভাবে হেনস্তা করার ঘটনা এর আগে কোনদিন লক্ষ করিনি। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুসারে ৫শ টাকা পর্যন্ত সেশন চার্জ নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে সেশন চার্জ পরিশোধ না করলে বই পাবে না, এমন কোন নিয়ম নেই।
তদন্ত শেষ না করে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ।