ফলোআপ ঃ পীরগঞ্জে ভর্তি কেলেংকারী! ধরাছোয়ার বাইরে সিন্ডিকেটের সদস্যরা!বলিরপাঠা হলো দু’শিক্ষক

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ থেকে ঃ
পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি কেলেংকারীর ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে দু’শিক্ষককে বদলী করা হয়েছে। অপরদিকে ভর্তি কেলেংকারী সিন্ডিকেটের ৩ সদস্য ধরাছোয়ার বাইরে থাকায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষক। সেইসাথে ওই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ শিক্ষা বছরে পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৭৫ আসনে (ছাত্র-ছাত্রী) ভর্তির জন্য গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ওইদিন পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী একাধিক শিক্ষক এবং খাতা মুল্যায়নের সময় শিক্ষকরা স্বজনপ্রীতি করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে দেয়। ওই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ১ জানুয়ারী উপজেলা সদরে ‘সচেতন অভিভাবক’ ব্যানারে মানববন্ধন করে ইউএনও’কে স্মারকলিপি দেয়। ফলে ঘটনাটির তদন্তে ইউএনও ৫ সদস্যের কমিটি করেন। ওই কমিটি ভর্তি কেলেংকারীর সাথে জড়িত ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সুপারিশ করে। ৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল এবং দু’শিক্ষক একেএম হামিদুল ইসলামকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ অলদিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও শরীর চর্চার শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সদ্য বদলী হওয়া শিক্ষক একেএম হামিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় দাবী করে তিনি অব্যাহতি চেয়ে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে ১৭ জানুয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুরের জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে ভর্তি পরীক্ষায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর উল্লেখ করে বিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সদস্য রফিকুল ইসলাম (ইসলামিয়াত), নজরুল ইসলাম (ইংরেজি) এবং শামীমা নাসরিন সুমির বিরুদ্ধে (বাংলা) প্রচ্ছন্ন জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক শামীমা নাসরিন সুমি বলেন, তদন্ত হওয়ার পর এখন কেন এসব লেখালেখি হচ্ছে? আমি ওসবের সাথে জড়িত নই। অপর শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত হয়ে গেছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। অব্যাহতি চাওয়া শিক্ষক একেএম হামিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির কাছে প্রকৃত ঘটনা না বলার জন্য উল্লেখিত ৩ সিনিয়র শিক্ষক আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়ায় সত্য ঘটনা বলতে পারিনি। আমি নির্দোষ। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কমিটি ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ৩ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সুপারিশ করেছে। উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে উল্লেখিত অপর ৩ শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1848763776490828265

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item