নীলফামারীর ঢেলাপীরে অবৈধ চাঁদা বন্ধে প্রশাসনের অভিযান

বিশেষ প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারী॥ নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী ইজিবাইক ও সিএনজি চলাচলে বাধা দিয়ে ঢেলাপীর নামক স্থানে সীমানা রেখা সৃস্টি করে একটি মহলের চাঁদাবাজির বন্ধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী অভিযানে নেমেছে। সেই সঙ্গে অবৈধ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সাধারন মানুষজন ও ইজিবাইক চালকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার(১৭ জানুয়ারী) ও আজ শুক্রবার(১৮ জানুয়ারী) এই দুই দিনে জেলা প্রশাসন ও আইন আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে চাঁদাবাজরা। সেই সঙ্গে চালু হয়েছে নীলফামারী-সৈয়দপুর-নীলফামারী সরাসরি যাত্রীবাহী ইজিবাইক ও সিএনজি। ফলে হয়রানীর হাত হতে রক্ষা পেয়েছে যাত্রী সাধারন। এ জন্য জেলার সচেতন মহল জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও র‌্যাব-১৩ নীলফামারী সিপিসি-২ এর সদস্যদের সাধুবাদ জানিয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গা ও অভাব নিরশনে এলাকার বেকার যুবকরা অপরাধ জগত হতে বেরিয়ে এসে সৎ ও পরিশ্রমে পথে আয় রোজগারের জন্য ইজিবাইক ক্রয় করে যাত্রী পরিবহন করে সংসার চালিয়ে আসছে। ফলে কমেছে চুরি,ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা। নীলফামারী সহ তার পাশ্ববর্তী এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড কমে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড সহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা। উত্তরা ইপিজেড ও ক্ষুদ্র শিল্পকারখানায় প্রায় লক্ষাধীক নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে। প্রতিদিন তাদের কর্মস্থলে আসা যাওয়ার জন্য এই সকল শ্রমিকরা ব্যবহার করে ইজিবাইক সহ টেম্বু। কম ভাড়ায় তারা বাড়ী হতে চলাচল করে আসছে। এ অবস্থায় নীলফামারী ও সৈয়দপুরের মধ্যে সরাসরি এসকল যানবাহন চলাচলে সীমানা রেখা তৈরী করেছে একটি মহল। সৈয়দপুর নীলফামারী জেলার একটি উপজেলা হলেও সেখানকার একটি সুবিধাবাদী মহল ফায়দা লুটতে নীলফামারী ও সৈয়দপুরের মধ্যে সরাসরি ওই সকল যানবাহন চলাচলে ঢেলাপীরে সীমানা রেখা তৈরী করে সরাসরি চলাচলে শ্রমিক ও সাধারন যাত্রীদের হয়রানী করছে।
এলাকাবাসী অভিযোগে জানা যায়, উভয় দিক হতে চলাচল করতে হলে ঢেলাপীরে এসে ইজিবাইক পরিবর্তন করতে হয়। সৈয়দপুরের অংশের ও নীলফামারীর অংশের ইজিবাইক প্রতি ১০ টাকা হারে প্রতি ট্রিপে অবৈধভাবে চাঁদা তুলে আসছে ওই মহলটি। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের মারধরও করছে মহলটির লোকজন। বিষয়টি নিয়ে জেলার আইনশৃংঙ্খলা সভায় অনেকে অভিযোগ তোলে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার হতে অভিযান চালিয়ে সেখানে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ঢেলাপীরে সুবিধাবাদী মহলের সীমা রেখা উচ্ছেদ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়। এতে করে এখন নীলফামারী ও সৈয়দপুরের মধ্যে সরাসরি ইজিবাইক ও সিএনজি চলাচল শুরু করে। পুনরায় যাতে কেউ বাধা ও চাঁদাবাজি করতে না পারে সে জন্য আজ শুক্রবারও সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় জেলা প্রশাসন কাজ করছে। আমি এলাকার সাধারন মানুয়জনের শান্তিতে বসবাস ও পথে চলাচলে কোন হয়রানী মেনে নিবোনা। জেলা প্রশাসনের পক্ষে ঢেলাপীরে আমাদের নজরদারি সব সময় থাকবে।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, জেলার আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বদা কাজ করছে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তিতে যাতে কেউ ঢেলাপীরে চাঁদাবাজি ও যানচলাচলে কোন বাধা সৃস্টি করতে না পারে সে দিনে সব সময় আমাদের নজরদারী থাকবে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2201843483082681703

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item