কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মিজু

 মাহমুদুল ইসলাম লাম, লালমনিরহাটঃ-
তারুণ্য হল বর্ষার খরশ্রোতা নদী। নদী হল প্রকৃতির সুধাধারা। তারুণ্য ধারণ করে সত্য প্রতিষ্ঠার প্রেরণা। ভেঙ্গে গড়ার আকাক্সক্ষা। তারুণ্য যেন আলোহীন গহন কালোর অভিমুখে অগ্রসরমান। আর তাই
একাদশ জাতীয় সংসদের রেষ কাটতে না কাটতেই বইতে শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আমেজ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা হবে ফেব্রুয়ারিতেই। সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী গণসংযোগে নেমে পড়েছেন।

বিশেষ করে এবাটই প্রথম  দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থীদের দল থেকে মনোনয়ন নেয়ার জন্য সম্ভাব্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা  নিজ যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষে টানার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
 নির্বাচনের ঘোষণা আসার পূর্বেই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে কে কে প্রার্থী হতে চান তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমলোচনা। ইতোমধ্যেই অনেকেই দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ থেকে নাম শোনা যাচ্ছে, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও চলবলা ইউনিয়নের পরপর নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু,
বর্তমান কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর আপন ছোট ভাই মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ পুনরায় মনোনয়ন চাইবেন।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি বলে জানান সফল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিব দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর। তারা যদি আমাকে প্রার্থী হিসাবে চান তখন সিদ্ধান্ত নিব। আমার রাজনীতি মুলত জনগণকে নিয়ে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাই। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন। মনোনয়ন দিলে জয়ী হব ইনশাল্লাহ্।
জানা যায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭নং চলবলা ইউনিয়নের পরপর নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু ১৯৭২ খ্রিঃ পহেলা আগস্ট চলবলা ইউনিয়নের নিথক গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
পিতাঃ মরহুম আঃ সামাদ, মাতাঃ সুফিয়া বেগম,  গৃহিনী। বেলতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা শুরু। ১৯৮৭ সালে শিয়াল খোওয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে এসসি পাস করেন। ১৯৯২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধীন স্নাতক ডিগ্রী ও পরে ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোওর ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। ১৯৯১ সালে কে, ইউ, পি, কলেজ সংসদের ছাত্রলীগ মনোনীত এ.জি.এস।
১৯৯৪ সালে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগঠন সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তিনি সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। তিনি ইলেক্টনিক মিডিয়া চ্যানেল আই, বার্তা সংস্থা ’ইউ.এন.বি’ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি বুড়ীরদিঘী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতা মূল পেশা হলেও জনসেবা আর শিক্ষা প্রতিষ্টান  প্রতিষ্টায় এগিয়ে গেছেন এই তরুণ জননেতা। তিনি প্রতিষ্টা করেছেন শিয়াল খোওয়া স্কুল এন্ড কলেজ, অচিন তলা দাখিল মাদ্রাসা, শিয়ালখোওয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল ও সূর্যমুখী টেকনিক্যাল এন্ড বি, এম কলেজ।

তবে নিবার্চন নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার সাধারন ভোটাদের মতামত ভিন্ন বলে জানা গেছে।
সাধারন ভোটার মনে করেন যে, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির অবসান হওয়া দরকার। একই পরিবারে চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী।  এ রাজনীতির অবসান জরুরী বলে মনে করছেন তারা। সেদিক বিবেচনায় এবার মিজুকেই যোগ্য মনে করছে এলাকার সাধারন ভোটার।

অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কিছু দলীয় নেতাকর্মী মনে করেন, যেহেতু তারা এমপি মন্ত্রী হয়েছেন, সেহেতু এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্যেদের সুয়োগ দেয়া দরকার।

পুরোনো সংবাদ

লালমনিরহাট 759976427419469659

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item