কিশোরগঞ্জে জাতীয় নির্বাচনের পর এবার বইছে উপজেলা নির্বাচনে হাওয়া

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ একাদশ জাতীয় সং সদ নিবাচন শেষে উপজেলা নির্বাচনের খবরে এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় । জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় পরাজয়ের পর  উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি একেবারে নিশ্চুপ থাকলেও  জাতীয় পার্টির দুর্ঘ্য বলে খ্যাত এ উপজেলায় জাতীয় পার্টি ও বর্তমান ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগে বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টিতে খুব জোরেশোরেই শুরু হয়েছে নির্বাচনী তোড়জোড়।  ইতিমধ্যেই মনোনয়ন যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন নেতারা।  আগামী মার্চ মাসে দলীয় প্রতিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনটি ধরে নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন  তারা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে প্রতিদন্ডিতা করেছিলেন মোট ৬ জন প্রার্থী।  সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম তিনি ওই  নির্বাচনে ঘোরা প্রতীক নিয়ে  ৩৫৭৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতীদন্ডি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাজ্জাকুল ইসলাম রাজা তিনি ভোট পেয়েছিলেন ২৬৮০৭।  অপর দিকে আওয়ামীলীগ নেতা মশিয়ার রহমান মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন২১৩৩২, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা প্রয়াত মোসাদ্দেক হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ১২৯৫৯ ভোট,  বিএনপি নেতা আফম শাওনুল হক শাওন চিংড়ি মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ৩৩৩৭ ভোট,  উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এছরারুল হক কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ১১০৯ ভোট। বর্তমানে নীলফামারী ৪ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানে জাতীয় পার্টি তথা মহাজোট থেকে এমপি হয়েছেন পল্লীবন্ধু এরশাদের আপন ভাগিনা আহসান আদেলুর রহমান আদেল । জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষনায় আবারো বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম আগামী নির্বাচনে দলীয় ব্যানারে জয়লাভ করার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। আওয়ামীলীগ থেকে এবারের উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে চান ২০০৯ সালে নির্বাচিত  সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম আমির, মশিয়ার রহমান, কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবুল কালাম বারী শাহ পাইলট  দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ব্যাপক ভরাডুবির কারনে দলটির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে কোন প্রকার মাথা ঘামাচ্ছেননা। তাছাড়া গত নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করা উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রভাষক রাজ্জাকুল ইসলাম রাজার কর্মরত প্রতিষ্ঠান কিশোরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজটি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জাতীয়করন হওয়ায় তিনি আর নির্বাচনে দাড়াতে পারবেননা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  রশিদুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির দূগ্য এখানে জাতীয় পার্টির নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে । গত নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হয়েছিল তার পরও আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম আর এবারতো দলীয় প্রতীক হওয়ার কথা । তাই আমাকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আবুল কালাম বারী শাহ পাইলট বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতাধিক তরুন প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তাই আমিও একজন তরুন প্রার্থী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল বলেন, আমি গত ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী ৪ আসনে সংসদ সদস্য হিসাবে দলীয়ভাবে  মনোনয়ন কিনেছিলাম। কিন্তু মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই দলীয়  নির্দেশ মেনে মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে আমাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে আমি আশাবাদি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8725438801692087905

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item