ডোমারে প্রাচীন গৌতম বুদ্ধের মূর্তি উদ্ধার ,আত্মসাতে ব্যার্থ চেয়ারম্যান ও তার পুত্র।
https://www.obolokon24.com/2019/01/domar_13.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার ( নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে প্রাচীন কালের গৌতম বুদ্ধের মূর্তি উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
গত ৫জানুয়ারী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে চোমুয়ার বিল পূর্ণ খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসন বেগম নাজিয়া শিরিন। খনন কালে গত ১১জানুয়ারী দুপুরে সেখান থেকে একটি প্রাচীন কালের গৌতম বুদ্ধের মুর্তি পাওয়া যায়। সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের ছেলে ফরহাদ হোসেন চালাকি করে মূর্তিটি হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। স্থানীয় সাংবাদিকগণ প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে, প্রশাসন মূর্তি উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠে। ডোমার থানা প্রশাসন ফরহাদকে চাপ সৃষ্টি করলে গতকাল ১২ জানুয়ারী ফরহাদ ও তার পিতা আসল মূর্তিটি লুকিয়ে রেখে পুরাতন ইটের টুকরা থানায় জমা দেয়। সাংবাদিক ও পুলিশের লোকজন সরেজমিনে তদন্ত করে জানতে পারে আসল মূর্তিটি তারা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জয়ব্রতপালের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মোকছেদ আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চেয়ারম্যান কালামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রবিবার সকাল ১১টায় ডোমার থানায় প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন। সার্কেল জয়ব্রতপাল বলেন, মূর্তিটি ফেরত দিতে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফরহাদ গড়িমশি করে এবং আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতায় আমরা তা উদ্ধার করতে পেরেছি। মূর্তিটি প্রাচীন কালের এবং কষ্টি পাথরের হতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। মূর্তিটি ওজন সাতশত পঞ্চাশ গ্রাম, দৈর্ঘ সাড়ে ছয়, প্রস্ত আড়াই ইঞ্চি ছিল। ওসি মোকছেদ আলী বলেন, মূর্তিটি আত্মসাতের চেষ্টার অপরাধে চেয়ারম্যান ও তার পুত্র ফরহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিনে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় খনণ কাজ করা হয়, প্রকল্পটির বরাদ্ধ-১৫লক্ষ ৫৪হাজার টাকা বলে যানা যায়।