সংসার চালাতে বর্গাচাষী শিক্ষক
https://www.obolokon24.com/2018/12/panchagar_6.html
সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়
শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। এই কারিগররা সমাজে চলে সম্মানের সাথে, কারণ শিক্ষকতা মহান পেশা। কিন্তু এই মহান পেশার দায়িত্বে থাকা সত্বেও পরিবার চালানোর জন্য এক শ্রেণির অবহেলিত শিক্ষক আজ মসজিদের ইমামতি আর অন্যের জমিতে কৃষি করে বর্গাচাষী হিসেবে পরিচিত।
এমনই অবহেলিত পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা। দীর্ঘ ১৭ বছর থেকে অপেক্ষায় আছে এমপিও ভুক্তকরণের। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে ২০০১ সাল থেকে দাখিল শাখা চালু হয় এবং ২০০৩ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। তখন থেকেই এখানে কর্মরত আছেন সুপার পদে মাওঃ হামিদুল ইসলাম, সহ-সুপার মাওঃ সাইদুল আলম, সহ-শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম, ক্বারী সপিয়ার রহমান, অফিস সহকারি রফিজল ইসলাম।
এদের মধ্যে সহ-শিক্ষক নূরুল ইসলাম পরিবার পরিচালনা এবং সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য অন্যের জমি বর্গাচাষ করেন। আর সহ-সুপার সাইদুল আলমের সংসার চলে মসজিদের ইমামতিতে।
তারপরও তারা দায়িত্বের সাথে পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলও হয় সন্তোষজনক।
২০০৯ সালের দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ জিপিএ-৫ অর্জন করে এই মাদ্রাসার একজন। অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত। অনেকে সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কিন্তু ভাগ্যবদল হচ্ছেনা অবহেলিত এই শিক্ষকদের। অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে এখন তারা হাল ছেড়ে দেবার পথে। বিনা বেতনে আর কত?
এদিকে কয়েকজনের চাকরীর বয়সও প্রায় শেষের দিকে।
সহ-সুপার মাওঃ সাইদুল আলম এ প্রতিবেদককে জানায়, ২০০১ সাল থেকে এমপিও ভুক্তের স্বপ্ন দেখছি কিন্তু এই স্বপ্ন আদৌ পূরণ হবে কিনা জানিনা। চলতি বছরেও আমরা নন-এমপিও শিক্ষকরা ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনে গিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিল, বলেছিল তোমরা ফিরে যাও তোমাদের দাবী পূরণ হবে। কিন্তু এখনো আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাস্তবায়ন দেখছিনা।
শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। এই কারিগররা সমাজে চলে সম্মানের সাথে, কারণ শিক্ষকতা মহান পেশা। কিন্তু এই মহান পেশার দায়িত্বে থাকা সত্বেও পরিবার চালানোর জন্য এক শ্রেণির অবহেলিত শিক্ষক আজ মসজিদের ইমামতি আর অন্যের জমিতে কৃষি করে বর্গাচাষী হিসেবে পরিচিত।
এমনই অবহেলিত পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা। দীর্ঘ ১৭ বছর থেকে অপেক্ষায় আছে এমপিও ভুক্তকরণের। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে ২০০১ সাল থেকে দাখিল শাখা চালু হয় এবং ২০০৩ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। তখন থেকেই এখানে কর্মরত আছেন সুপার পদে মাওঃ হামিদুল ইসলাম, সহ-সুপার মাওঃ সাইদুল আলম, সহ-শিক্ষক মোঃ নূরুল ইসলাম, ক্বারী সপিয়ার রহমান, অফিস সহকারি রফিজল ইসলাম।
এদের মধ্যে সহ-শিক্ষক নূরুল ইসলাম পরিবার পরিচালনা এবং সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য অন্যের জমি বর্গাচাষ করেন। আর সহ-সুপার সাইদুল আলমের সংসার চলে মসজিদের ইমামতিতে।
তারপরও তারা দায়িত্বের সাথে পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলও হয় সন্তোষজনক।
২০০৯ সালের দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ জিপিএ-৫ অর্জন করে এই মাদ্রাসার একজন। অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত। অনেকে সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কিন্তু ভাগ্যবদল হচ্ছেনা অবহেলিত এই শিক্ষকদের। অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে এখন তারা হাল ছেড়ে দেবার পথে। বিনা বেতনে আর কত?
এদিকে কয়েকজনের চাকরীর বয়সও প্রায় শেষের দিকে।
সহ-সুপার মাওঃ সাইদুল আলম এ প্রতিবেদককে জানায়, ২০০১ সাল থেকে এমপিও ভুক্তের স্বপ্ন দেখছি কিন্তু এই স্বপ্ন আদৌ পূরণ হবে কিনা জানিনা। চলতি বছরেও আমরা নন-এমপিও শিক্ষকরা ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনে গিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিল, বলেছিল তোমরা ফিরে যাও তোমাদের দাবী পূরণ হবে। কিন্তু এখনো আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাস্তবায়ন দেখছিনা।