নীলফামারী-২ আসন॥ মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর
https://www.obolokon24.com/2018/12/nur_11.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১১ ডিসেম্বর॥ নীলফামারী-২ (সদর) আসনে মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
আজ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি কুন্দুপুকুর ইউনিয়নে খাজা সৈয়দ পীর মীর মহিউদ্দিন চিচতির (রা.) মাজার জিয়ারত শেষে সেখানে মতবিনিময় সভায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
আসনটি থেকে টানা তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এসময় বলেন, ‘২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি বলেছিলাম এলাকার উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নীলফামারীর উন্নয়ন হয়েছে, প্রত্যাশা পুরণ হয়েছে আশাতীত। এবার উন্নত নীলফামারী গড়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থাকবে, ভোট হবে, কেউ হারবে, কেউ জিতবে। কিন্তু আমরা নীলফামারীর উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবো। জেলায় দলমত নির্বিশেষে এক সঙ্গে কাজের উদাহরণ অনেক আছে, নীলফামারী ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল আরেফিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হাসান চৌধুরী। নীলফামারীতে হয়রানী করার জন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
তিনি বলেন, জামায়াত নামে কোন দল এই মুহুর্ত্বে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আদালত থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে এরপরও যারা দলটির কথা বলছেন তারা মুলত আইন লংঘন করছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে চলেছে সেটির অংশীদার নীলফামারীবাসীও ভোগ করবে।
গত ১০ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নের কথায় তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইপিজেডে ৩২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সেখানে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ, কারিগড়ি ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাসিং ইনিস্টিটিউট, উন্নয়ন হয়েছে ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন হাসপাতালের, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ খেলাধুলার উন্নয়ন হয়েছে, নির্মিত হয়েছে আধুনিক স্টেডিয়াম। সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। শিল্প এবং কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নে এলাকা থেকে দূর হয়েছে এক সময়ের মঙ্গা। এখন দরকার পরিকল্পিত এবং উন্নত নীলফামারী গড়া।
আগামী দিনের পরিকল্পনার কথায় নূর বলেন, নীলফামারী জেলার চিলাহাটি হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালুর কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠণ করলে, নীলফামারীতে কৃষি কলেজ, দিনাজপুর জেলার জয়গঞ্জে করতোয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। সেতুটি নির্মাণ করা গেলে নীলফামারীর সঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়া উত্তরা ইপিজেডের পাশে অর্থনৈতিক জোন, আইটি পার্ক নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি অনেকদিন ক্ষমতায় ছিল। সে সময়ে কি কাজ হয়েছে আর শেখ হাসিনার সময়ে কি কাজ হয়েছে সেটি তুলনা করলেই আপনারা উন্নয়নের প্রর্থক্যটা বুঝতে পারবেন।’
এরপর তিনি কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পুলহাট ও শখের বাজার এলাকায় পথ সভা করেন।
এর আগে দুপুরে শহরের উদয়ন বিদ্যাপীঠ মাঠে কেমিষ্ঠ এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে পল্লী চিকিৎসক সমিতি, কেমিষ্ঠ এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভিশন ২০২১ আয়োজিত ছড়া ও কবিতা লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভিশন ২০২১ এর প্রধান সমন্বয়ক ওয়াদুদ রহমান।
এসকল অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মো. জোনাব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ মঞ্জু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মমতাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মবিজুল হাসান চৌধুরী শাহিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ। #
আজ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি কুন্দুপুকুর ইউনিয়নে খাজা সৈয়দ পীর মীর মহিউদ্দিন চিচতির (রা.) মাজার জিয়ারত শেষে সেখানে মতবিনিময় সভায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
আসনটি থেকে টানা তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এসময় বলেন, ‘২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি বলেছিলাম এলাকার উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নীলফামারীর উন্নয়ন হয়েছে, প্রত্যাশা পুরণ হয়েছে আশাতীত। এবার উন্নত নীলফামারী গড়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি থাকবে, ভোট হবে, কেউ হারবে, কেউ জিতবে। কিন্তু আমরা নীলফামারীর উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবো। জেলায় দলমত নির্বিশেষে এক সঙ্গে কাজের উদাহরণ অনেক আছে, নীলফামারী ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল আরেফিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হাসান চৌধুরী। নীলফামারীতে হয়রানী করার জন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
তিনি বলেন, জামায়াত নামে কোন দল এই মুহুর্ত্বে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আদালত থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে এরপরও যারা দলটির কথা বলছেন তারা মুলত আইন লংঘন করছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে চলেছে সেটির অংশীদার নীলফামারীবাসীও ভোগ করবে।
গত ১০ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নের কথায় তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইপিজেডে ৩২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সেখানে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ, কারিগড়ি ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাসিং ইনিস্টিটিউট, উন্নয়ন হয়েছে ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন হাসপাতালের, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ খেলাধুলার উন্নয়ন হয়েছে, নির্মিত হয়েছে আধুনিক স্টেডিয়াম। সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। শিল্প এবং কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নে এলাকা থেকে দূর হয়েছে এক সময়ের মঙ্গা। এখন দরকার পরিকল্পিত এবং উন্নত নীলফামারী গড়া।
আগামী দিনের পরিকল্পনার কথায় নূর বলেন, নীলফামারী জেলার চিলাহাটি হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালুর কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠণ করলে, নীলফামারীতে কৃষি কলেজ, দিনাজপুর জেলার জয়গঞ্জে করতোয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। সেতুটি নির্মাণ করা গেলে নীলফামারীর সঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়া উত্তরা ইপিজেডের পাশে অর্থনৈতিক জোন, আইটি পার্ক নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি অনেকদিন ক্ষমতায় ছিল। সে সময়ে কি কাজ হয়েছে আর শেখ হাসিনার সময়ে কি কাজ হয়েছে সেটি তুলনা করলেই আপনারা উন্নয়নের প্রর্থক্যটা বুঝতে পারবেন।’
এরপর তিনি কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পুলহাট ও শখের বাজার এলাকায় পথ সভা করেন।
এর আগে দুপুরে শহরের উদয়ন বিদ্যাপীঠ মাঠে কেমিষ্ঠ এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে পল্লী চিকিৎসক সমিতি, কেমিষ্ঠ এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভিশন ২০২১ আয়োজিত ছড়া ও কবিতা লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভিশন ২০২১ এর প্রধান সমন্বয়ক ওয়াদুদ রহমান।
এসকল অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মো. জোনাব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ মঞ্জু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মমতাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মবিজুল হাসান চৌধুরী শাহিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ। #