নীলফামারী - ৪ আসনে রইল না কোন বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী - ৪ (সৈয়দপুর - কিশোরগঞ্জ) আসনে হাইকোর্টের চেম্বার আদালতে রায়ে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে এ আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আর কোন প্রার্থী রইল না। এ কারণে মহাজোটের মনোনীত জাতীয় পার্টির (এ)  লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেলের বিজয় প্রায় নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায়। নীলফামারীÑ ৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থিতা স্থগিত করার কারণে সেখানে কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন বরাবরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন বলে বিএনপির স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।
নীলফামারী - ৪ আসনে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপি দুই নেতাকে প্রার্থী হিসেবে চিঠি দেয়। তারা হচ্ছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র, সাবেক সাংসদ মো. আমজাদ হোসেন সরকার। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ২৮ নভেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় নেত্রী বেবী নাজনীন ও  সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকার উভয়ে তাদের স্ব স্ব মনোনয়নপত্র জমা করেন। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে নীলফামারী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন নীলফামারী - ৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরবর্তীতে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার রিটার্নিং অফিসারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। নির্বাচন কমিশনেও তাঁর আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এ অবস্থায় বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার হাইকোর্টের রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন সরকার। এ অবস্থায় সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন লাভ করে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পান। এর পর থেকে তিনি (আমজাদ হোসেন সরকার)  বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, সভা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুথপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৈয়দপুরে এসে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারের নির্বাচনী সভা বক্তব্য রাখেন। শহরের বিমানবন্দর সড়কে অফিসার্স কলোনী ফাইভ স্টার মাঠে ওই বিশাল নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালত গত ২৪ ডিসেম্বর (সোমবার) বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থিতা স্থগিত করেন। এতে করে নীলফামারী - ৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী তাঁর প্রার্থিতা হারান। আর এর মধ্যদিয়ে এ আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী শূণ্য হয়ে পড়ে। আর এতে করে  বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেরও কোন প্রার্থী রইল না আসনটিতে। এদিকে, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার তাঁর প্রার্থিতা হারায় এখন আর তেমন  ভোটের আমেজ নেই নীলফামারী - ৪ আসনে। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সকলেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। ভোটারদের মধ্যে নেই তেমন  কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচনী  মাঠে নেই কোন উত্তাপ। নির্বাচনী মাঠ যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে এক ভোটার জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে না থাকলে কি আর নির্বাচন জমে।
অপরদিকে, বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থিতা  স্থগিত ওয়ায় এ আসনে প্রার্থী রইল ৪ জন। প্রার্থীরা হলেন মহাজোটের মনোনীত জাপা (এ) আহসান আদেলুর রহমান আদেল(প্রতীক লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (প্রতীক সিংহ) ও এনপিপি মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকার (প্রতীক আম)।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5380011985040603322

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item