কুড়িগ্রাম-১ আসনে নতুন চমক নিজেই প্রার্থী নিজেই প্রচারক হাই মাস্টার

হাফিজুর রহমান হৃদয়,  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
‘‘আমি হাই মাষ্টার, ভাই বোনদের বলে যাই, গোলাপ ফুল মার্কায় ভোট চাই। আমাকে ভোট দিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধানে সংসদে কথা বলার সুযোগ দিন।” মাইকে এমন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ^রী-ভূরুঙ্গামারী) আসনের জাকের পার্টির মনোনিত প্রার্থী তিনি। অন্য দলগুলোর প্রার্থীরা দলীয় নেতা-কর্মী ও জনবল নিয়ে মাঠ চসে বেড়ালেও আব্দুল হাই মাস্টারের নেই কোনো কর্মী বাহিনী। তিনি নিজেই প্রার্থী নিজেই প্রচারক। ছাদ বিহীন খোলামেলা একটি ইজি বাইকে সামনে পিছনে দুট মাইক লাগিয়ে একেকদিন একেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে প্রচারণা চালান তিনি। হাট, বাজার, রাস্তার মোড়, কিংবা মানুষের জটলা দেখলেই নেমে পড়েন অটো রিকশা থেকে। ছালাম বিনিময়, হ্যান্ডশেক আর কোলাকুলি করে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত। এতে অন্যান্যদের প্রচারণা থেকে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে হাই মাস্টারের প্রচারণায়। তাই ভোটাররাও বেশ আগ্রহ আর উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে গিয়ে শোনেন তার কথা। আশ^স্ত করেন গালাপ ফুল প্রতীকে ভোট দেয়ার। নির্বাচন কালীন সময়ে তিনি মাত্র ৩ হাজার পোস্টার ছেপে ২ উপজেলায় লাগিয়েছেন। আর কোনো পোস্টার, ব্যানার কিংবা ফেস্টুনও লাগাননি কোথাও। এমনকী দ্বিতীয় কোনো মাইকও ছারেননি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য। ভোটারদের জন্যও কোনো বাড়তি খরচ করতে হয় না তাকে। যা খরচ হয় সব ভোটাররাই তাকে সহযোগিতা করে ভোটের খরচ যোগান দেন।
আব্দুল হাই মাস্টার জানান, তিনি সারা জীবন জনগণের কাজ করেছেন, নাগরিক সমস্যা, পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাই তাকেই মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এখনকার মানুষ অনেক সচেতন, কোনো দেওয়ানীর কথা শেনেন না। টাকারও লোভ নেই। ভোটাররা এখন অনেক জ্ঞানী। তাদের সুস্থ জ্ঞান গরিমায় আমার গেলাপ ফুল মার্কায় ভোট প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য আব্দুল হাই মাষ্টার ২০০৮ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় পরিবেশ রক্ষায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড় ও ড্রেনে নেমে ময়লা পরিস্কার করতেন। বিষয়টি সে সময় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো সারা দেশে। জনপ্রিয় বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতেও দেখানো হয় সে চিত্র। এর আগে তিনি একই উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট পরাজিত হন।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর পুত্র আব্দুল হাই মাস্টার। শিক্ষায় বিএ পাস করেছেন তিনি। সম্পত্তি বলতে বাড়িভিটাসহ ২৮শতক জমি, একটি টিভি, ওয়ারড্রপ, ৫ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ৫লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। তবে তার কোন ধরনের ঋণ বা মামলা নেই।

পুরোনো সংবাদ

নির্বাচন 4148404742791531013

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item