জামায়াত নেতার ধৃষ্টতা- গ্রেফতারের দাবিতে জলঢাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ


বিশেষ প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর॥ স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রকে অস্বীকার ও ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবসকে পিছিয়ে দেয়ার জামায়াত নেতাদের ধৃষ্টতার প্রতিবাদে ও গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে আপামর জনতা।
আজ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঘন্টাকালব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালন করা হয়। জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও স্বাধীনতার পক্ষের সকল সংগঠনের পক্ষে এই কর্মসুচি পালন করে জলঢাকাবাসী। কর্মসুচির কারনে জলঢাকা হতে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় ঘন্টাব্যাপী। রাস্তার দুই ধারে সৃস্টি হয় যানজট।
জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আসাদুজ্জামান স্ট্যালিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য এ সময় রাখেন জলঢাকা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হামিদুল ইসলাম, জেলা জাসদ (ইনু) সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৯ মাস যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত এবং আরো অনেক অজানা ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের "স্বাধীন বাংলাদেশ"। এই মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস সহ বাংলাদেশের রাষ্ট্রকে মানেনা নিবন্ধন বাতিলের দলের ধৃষ্টতাকারী জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ।
সে একজন প্রশিক্ষিত জঙ্গী ক্যাডার বলে অখ্যায়িত করে বক্তারা আরো বলেন, সেই মুরাদ সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামায়াতে কুখ্যাত নাশকতার মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করে। তা না হলে বৃহৎ কর্মসুচির মাধ্যমে জলঢাকা সহ নীলফামারী জেলাকে অচল করার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
অভিযোগ মতে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালনে প্রাক প্রস্তুতি সভা গতকাল মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের হলরুমে চলছিল। সে সময় জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারী ও জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ তার পক্ষের লোকজন নিয়ে উপস্থিত ছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে জামায়াত নেতা ফয়সাল মুরাদ বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পিছিয়ে দেয়ার দাবি তুলে। সেখানে উপস্থিত নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদৌলা সহ সকলে প্রতিবাদ করে উঠে। এ সময় জামায়াত নেতা মুরাদ ধৃষ্টতা দেখিয়ে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের স্বাধীন এই রাষ্ট্রকেই মানিনা।’ এরপর জামায়াত নেতা মুরাদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ইউএনও-র অফিস রুম হতে বের হয়ে চলে যায়।
ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃস্টি হয়। ঘটনার দিন বিকালে জামায়াত নেতা ফয়সাল মুরাদ সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের এই ধৃষ্টতার বিচার ও গ্রেফতারের দাবি তুলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠে ইউএনওর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধের কর্মসুচি ঘোষনা করে।
অপর দিকে ঘটনার দিন রাতে জলঢাকা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়েরের জন্য লিখিত এজহার দেয় জলঢাকা পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মানিকুজ্জামান মানিক। বাদী তার এজাহারে ঘটনার কথা উল্লেখ করে উক্ত জামায়াত ক্যাডার ফয়সাল মুরাদ সহ নামী ৬ জন সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন জামায়াত ক্যাডারকে দায়ি করেন।
লিখিত এজাহারে স্বাক্ষি করা হয় নির্বাহী কর্মকর্তা সহ ওই আলোচনায় উপস্থিত অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, ঘটনার বিবরনে এজাহারে যা উল্লেখ করা হয় তা বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় পড়ে। এই ধারায় মামলা রুজু করতে হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের পূর্ব অনুমতির প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক ভাবে এজাহারটি জিডি (নম্বর ৫০৪) দায়ের করে তা অগ্রহতি করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়া গেলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি রুজু করা হবে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1858208092322244202

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item