ঠাকুরগাঁয়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন।ধানের দাম নেই কৃষকরা হতাশ।

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁয়ের সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি ভৌগলিক কারণেই হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হিসেবে উঁচু, বেলে ও  দোআঁশ মাটি। গেল বছরের বন্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার এবং উপজেলায় ব্যপক কৃষির ক্ষতিসাধন হয়। চলতি বছরে বন্যার তেমন কোনো প্রভাব ঠাকুরগাঁও প্রভাব পরেনি।

তারই ফলশ্রুতিতে এবছর আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা। তবে দাম নিয়ে কৃষকরা সংসয় প্রকাশ করছেন। সরকার যদি ধানের ন্যায্য মূল্য না দেয় তবে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

সদর উপজেলার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, হরিনারায়নপুর গ্রামের ধানচাষী হরেন্দ্রনাথ রায়, অশ্বিনী কুমার রায়, রফিকুল ইসলাম সাম্প্রতিক দেশকালকে  বলেন, এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ধান ঘরজাত করতে পারলে গত বছরের বন্যার ক্ষতি পুষিতে নিতে পারবেন তারা। মাত্র ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা মণ দরে যদি ধান বিক্রয় করতে হয় তবে ধান চাষী খরচের টাকা উঠাতে পারবে না। সরকার যদি ধানের ন্যায্য মূল্য না দেয় তবে ধান চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

একই অবস্থা জেলার পিরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর, উপজেলার ধান চাষীদের। এই উপজেলার পামুলী, সোনাহার, দণ্ডপাল ইউনিয়নের চাষীদের গত বছরের বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবছর আমন ধানের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।

আখানগর গ্রামের ধান চাষী ইসমাইল, সোবহান, জসিম উদ্দিন ধানের ন্যায্য বাজার না পেলে তাদের ধান চাষের খরচই উঠবে না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকূত আনিসুর রহমান বলেন জেলায় এ বছর ৪৮১১৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৮৬৫৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল, ৬১৯৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ৯০৬৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। ধানের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। কৃষকরা ধানের ভালো বাজার পেলে আগামীতে ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 1783357513495366693

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item