সবজির উপজেলা হরিপুরে হিমাগার নেই

জে.ইতি হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
সবজিবান্ধব উপজেলা হিসাবে পরিচিত ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর। আলুসহ এ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সারা বছর সবজি চাষ করা হয়।
কিন্ত কোনো হিমাগার নেই। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পায় না। উপজেলায় প্রচুর পরিমানে সবজি
উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এসব সবজি রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, চট্রগ্রাম ও সিলেটে সরববাহ করা হয়। উপজেলার কৃষকের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ, ‘জমির ফসল সংরক্ষিত হবে হিমাগারে, ন্যায্য মূল্য পেয়ে কষ্ট ঘুচবে কৃষকের। ‘তা পূরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় হিমাগার স্থাপনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবেও এ পর্যন্ত কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সম্প্রতি উপজেলার কাঠালডাঙ্গীবাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি চাষীরা ভ্যান, সাইকৈলে ও মাথায় করে বিভিন্ন স্থান থেকে নানা প্রকারের শাকসবজি নিয়ে বাজারে আসছে। বাজারের সীমানা ছাড়িয়ে পাঁকা রাস্তার দু’ পাশ অনেকাংশে দখল করে রেখেছে।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, উপজেলার পাঁকা রাস্তাগুলোর ধারে (সন্নিকটে) পাইকারি ক্রেতারা সবজি কিনে পাশে
দাঁড়ানো ট্রাকভর্তি করছে। পাইকারি ক্রেতা আর সবজি নিয়ে আসা কৃষকের পদচারণে মুখরিত ওঠে রাস্তার ধার।
উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের কৃষক জলিল বলেন, ফসল কম হলেও কৃষকের মরা, বেশি হইলেও মরা। কম হইলে খরচ ওঠেনা। আর বেশি হইলেও পাইকাররা দাম কম বলে, কিনতে চায় না আর আমরাও সবজি বেঁচতে পারি না। পরে কম দামে ধর্ণা দিয়ে সবজি বেঁচতে হয়। আজ ফুলকপির ১০০ টাকা মন বিক্রি করেছি। কিন্ত আমাদের খরচা তো আর কম হয় না।এলাকায় যদি একটা সবজি না পচনের ঘর থাকত (হিমাগার) তা হইলে একটু বাঁচা হইত।
হরিপুর এলাকার সবজি চাষী রিয়াজুল বলেন, সবজি চাষ করতে এখন সার-কীটনাশক দিতে যে টাকা খরচ হয়, সেই টাকা উঠানো কষ্ট। কারণ পাইকারি হাটে সব সময় তো আর দাম এক রকম থাকে না। অনেক ওঠানামা করে। যদি সবজিগুলো রাখার (সংরক্ষণ) থাকত তাহলে বেচার সুযোগ থাকত, একটু লাভের মুখ দেখতাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার নইমুল হুদা সরকার বলেন, হিমাগার খুব জরুরী এলাকার জন্য। আমরা স্থানীয় বড় ব্যবসায়ীদেরকে তদারকি করছি।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 828126841192741793

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item