সৈয়দপুরকে সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
১৯৭৩ সালে বিলুপ্ত সৈয়দপুর সিটি শহরের মর্যাদা পূনরুদ্ধারে এবং সৈয়দপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। সৈয়দপুর সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কমিটির পক্ষ থেকে ২০ নভেম্বর দুুপুরে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব এস এম গোলাম কিবরিয়া। তিনি স্মারকলিপিটি  গ্রহন করে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে প্রেরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।
এ সময় উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে নীলফামারী জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রাবেয়া আলিম, সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক তামিম রহমান, যুগ্ন-আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান (মনির), যুগ্ম -আহবায়ক মাহবুব- উল- হাসান মুকুল, সদস্য রফিকুল ইসলাম, আফতাব আলম পাপ্পু, গোলাম রসুল রাজু, বকুল শেখ, তাহমিদ হোসেন দিপু, মমিনুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
 উক্ত স্মারকলিপিতে সৈয়দপুরকে সিটি কর্পোরেশনের দাবিতে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ১৬৭ টি লেটার হেড প্যাড, ১২ হাজার ১৫০ জনের গণস্বাক্ষর এবং বিভিন্ন স্থানীয় সাপ্তাহিক ও জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবরের ৩০ পাতা সম্বলিত পেপার কাটিং সংযুক্ত করা হয়েছে।   স্মারকলিপি প্রদান শেষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কমিটি নেতৃবৃন্দ সৈয়দপুরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আগামীতে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দাবি আদায় করা হবে। সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নের দাবি বিভিন্নভাবে উপস্থাপন ও প্রচার চালানোর জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি দাবি পূরণে সকলকে স¤পৃক্ত করতে লিফলেট বিতরন, সকল জায়গায় স্টিকার লাগাতে হবে। সিটি বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক প্রচারে ও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে‘সৈয়দপুরকে সিটি কর্পোরেশন চাই’ লেখা কমপক্ষে একটি করে ডিজিটাল ব্যানার নিজ নিজ খরচে টাঙিয়ে প্রচার চালানোর লক্ষ্যে আহবান জানানো হয়। 
উল্লেখ্য, অষ্টম বাণিজ্যিক প্রধান শহর হিসেবে খ্যাত এক সময়ের সিটি ভাতাপ্রাপ্ত এই সৈয়দপুরে রয়েছে আর্ন্তজাতিক রেল কোচ নির্মানে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা,৯টি অভ্যন্তরীন বিমান চলাচলকারী বিমানবন্দর (নির্মানাধীন ৪র্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) সেনানিবাস, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা, রেল পুলিশ সুপারের কার্যালয়, এএসপি সার্কেল কার্যালয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরন কেন্দ্র, এফএসএম প্লান্ট গবেষনা কেন্দ্র, আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান, পেপার মিল, রাইস মিল, ইটভাটা, ফাইলেরিয়া হাসপাতাল সহ ৬০০টির মতো ছোট বড় কারখানা এবং বিসিক শিল্প নগরী এলাকা সহ অনেক সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।     
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন - ২০০৯, প্রতিষ্ঠা বিধিমালা ২০১০ এবং (সংশোধিত) ২০১১আইন অনুযায়ী একটি পৌরসভার ন্যূনতম ২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, বার্ষিক আয় ১০ কোটি টাকা, স্থানীয় আয়ের উৎস ৫ কোটি টাকা, জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে তিন হাজার হতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অবকাঠামোগত সুবিধা থাকতে হবে। লোকসংখ্যা ৪ লাখ হতে হবে। জনমত থাকতে হবে। আর এসবের সব শর্তই বিদ্যমান রয়েছে প্রথম শ্রেণীর সৈয়দপুর পৌরসভায়।                         

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 65951987468800824

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item