পঞ্চগড়ে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় বাসের মালিক ও চালককে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি কতৃপক্ষ


মো: তোতা মিয়া,পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
 পঞ্চগড় বংলাবান্ধা মহাসড়কে দশ মাইল নামক স্থানে গত শুক্রবার দূর্ঘটনায় ভাইবোন পরিবহনের এই মিনিবাসটিতে বিদ্যুতের পোল ঢুকে পড়ে মারা যায় ১১ জন। তার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে গত বুধবার ৩১/১০/২০১৮ইং তারিখে তবে এই ছয়দিনেও বাসের মালিক-চালককে শনাক্ত করতে পারেনি কতৃপক্ষ। পঞ্চগড় জেলার ইতিহাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। ওই দুর্ঘটনায় নারী শিশুসহ মারা যান ১১ জন। এ ঘটনা তেতুঁলিয়া হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করা হয়। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজাকে প্রধান করে ৫সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে জানা গেছে। তবে দুর্ঘটনার জন্য মূল দায়ী ভাই বোন পরিবহন নামের মিনিবাসটির মালিক এবং তার চালককে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা  মহাসড়কের দশ মাইল নামক এলাকায় পঞ্চগড়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক হতাহত হলেও সংখ্যার দিক থেকে এটি সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জনসহ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৫ জন এবং পরদিন আরও ১জন মারা যায়। এতে আহত হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও অন্তত ২০ জন। প্রত্যক্ষদশীরা জানিয়েছেন, ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে দশ মাইল এলাকায় একটি বিয়ের মিনিবাস দাঁড়িয়ে ছিল। রাত পৌনে ৮ টার দিকে ভজনপুর থেকে একটি বিদ্যুতের পোলবাহী ট্রেলার বিয়ের বাসটি অতিক্রম করে পঞ্চগড়ের দিকে আসছিল। একই সময় পঞ্চগড় থেকে তেতুঁলিয়া উদ্দেশ্যে যাওয়া ভাই বোন পরিবহনের মিনিবাসটি দ্রুতগতিতে ওই স্থান পার হওয়ার সময় চালকের পিছন দিক দিয়ে ট্রেলারের বিদ্যুতের পোল মিনিবাসের ভেতর ঢুকে যায়। এতেকরে ঘটনাস্থলে মারা যায় ৫ জন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে বেঁচে থাকা কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে মিনিবাসটি ছাড়ার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিল একজন হেলপার। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে যাত্রীরা বারবার ধীরে চালাতে বলে চালককে। বাসের সুপার ভাইজার ও বিভিন্ন সময় চালককে কিভাবে গাড়ী চালাবে সে নিয়ে নিদের্শনা দিচ্ছিল। দশ মাইল এলাকায় বিদ্যুতের পোলবাহী ট্রেলারের পেছনের অংশ কিছুটা বেঁকে যায়। এ সময় দ্রুত গতিতে মিনিবাসটি ওই স্থান অতিক্রম করার সময় ঠিক চালকের আসনের পেছন থেকে বিদ্যুতের পোল বাসের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় চালকের পিছনের সারিতে বসা যাত্রীদের গলা বরাবরে চলে গেলে ভয়বহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় অনেকে জানালা দিয়ে বাইরে বের হতে গিয়ে আহত হয়। এ ঘটনায় পঞ্চগড় থানায় দায়ের করা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তেতঁলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দুর্ঘটনার জন্য মুল দায়ী ভাইবোন পরিবহনের মিনিবাসটির মালিককে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এ কারণে ওই দিন বাসটি চালিয়েছিল তা সনাক্ত করা যাচ্ছেনা। মিনিবাসটি অনেক পুরোনো। এর কোন ফিটনেসও নেই। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটির প্রধান পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহেতেশাম রেজার সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, মিনিবাসটির রেজিস্ট্রেশন মৌলবি বাজারের এর মুল মালিকের নাম আমরা পেয়েছি। তবে হাত বদলের পর শেষ পর্যন্ত মিনিবাসটির মালিক কে সেটা এখনো আমরা পাইনি। তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের বিআরটিএ সহ অনেক জায়গায় অনেকের সাথে কথা বলতে হয়েছে। আমাদের প্রতিবেদন প্রায় প্রস্তুত। আজ বৃহস্পতিবার আমরা জেলা প্রশাসক এর কাছে প্রতিবেদন জমা দেব।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 5575875551411941083

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item