হরিপুরে শিক্ষক বেলাল হোসেন গড়ে তুলেছেন মাল্টা বাগান

জে.ইতি হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া কাঠালডাঙ্গীবাজারে বেলাল হোসেন নামে এক প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক একটু খাটুনিতে ২০১৫ সালে উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অথিদপ্তরের সহযোগিতায় ২একর জমিতে  গড়ে তুলেলে ছয় শ গাছ নিয়ে মাল্টা বাগান।
২০১৭ সালে প্রতিটি গাছে ফল আসলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি গাছে থোঁকায় থোঁকায় ধরেছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল মাল্টা। মাল্টা দেখতে কমলা লেবুর মতো এবং খেতে অনেকটা মৃষ্ট। মাল্টা চাষে কৃষি খাতে দেশের চাহিদা পূরণ এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিশ্ব বাজারে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন দেশীয় অর্থনৈতিবিদরা।
মাল্টা চাষী শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, মাল্টা বাগান চাষ করতে হলে একটু পরিশ্রম করলেই হবে। বাজারে চাহিদা প্রচুর আছে দেশীয় মাল্টার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন।
মাল্টা, এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা অ্যান্টিঅকি্রাডেন্টস মৃহের সমৃদ্ধ উৎসব। এটি ত্বকে সজীবতা বজায় রাখে এবং ত্বকের বলি রেখা প্রতিরোধ করে লাবণ্য ধরে রাখে। মাল্টা ইনফেকশন প্রতিরোধ সহায়তা করে। এটি প্রদাহ জনিত রোগ সারিয়ে তোলে। এক গ্লাস মাল্টার জুসকে ভিটামিন সি এর সবচেয়ে কার্যকর উৎস বলে মনে করা হয়। এটাকে ভিটামিন সি ট্যাবলেট হিসেবেও গ্রহণ করা যায়। প্রতিদিন একটি করে মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস আপনার দৃষ্টিশক্তিকে ভাল রাখে। কারণ, মাল্টায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও পটাসিয়াম। এ ভিটামিনগুলো আপনার দৃষ্টিশক্তির জন্য বেশ উপকারী। এতে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিক প্রতিরোধে সহায়তা করে। এন্টি অকি্রাডেন্ট থাকার কারণে ওজন কমাতেও সহায়তা করে। এছাড়াও আরো কয়েকটি গুণ রয়েছে মাল্টায়।
উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অথিদপ্তর জানান, নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছ খাটো, ছড়ানো ও অত্যধিক ঝোপালো। মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য চৈত্র পর্যমত্ম সময়ে গাছে ফুল আসে এবং কার্তিক মাসে ফল আহরণ উপযোগী হয়। ফল গোলাকার, মাঝারী আকৃতিক (১৫০ গ্রাম) ফলের দৈর্ঘ্য ৭ সে.মি এবং প্রস্থ ৫ সে.মি। মাল্টা দেখতে কমলা লেবুর মতো এবং খেতে অনেকটা মৃষ্ট।
সাধারণত মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য ভাদ্র (মে-আগস্ট) মাসের মধ্যে মাল্টা চারা লাগানো উত্তম। তবে পানি সেচ নিশ্চিত করা গেলে বছরের অন্যান্য সময়ও চারা লাগানো যেতে পারে।
ফল পূর্ণতা প্রাপ্তির সাথে সাথে ফলের গাছ সবুজ বর্ণ হালকা সবুজ বা ফ্যাকাশে সবুজ হতে থাকে। বারি মাল্ট-১ সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে আহরণ করা হয়।
রোগবালাই সম্পক্ষে উপজেলা কৃষি অফিসার নইমুল হুদা সরকার জানান, ড্রাম্পিং অফ নামে এক রোগ মাল্টা নার্সারীর
জন্য এটি একটি মারাত্বক রোগ। বীজ গজানোর পূর্বে বা পরে উভয় সময়েই এ রোগের আক্রমণে চারার গোড়ার দিকে পঁচে যায় এবং চারা মরে যায়। বর্ষা মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। গামোসিস (মঁসসড়ংরং) ফাইটোফথোরা নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়।
উপজেলা সহকারি উদ্ভিদ অফিসার আঃ খালেক বলেন, ড্রাম্পিং অফ রোগ প্রতিকার করতে হলে, বীজ বপনের আগে বীজতলা পঁচা খৈল সার (৬০ খৈল প্রতি বর্গ মিটার মাটিতে) দিয়ে শোধন করতে হবে। বীজ বপনের পূর্বে এগ্রোসিন দ্বারা বীজ শোধন করতে হবে। বীজতলায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সেচ দেয়া যাবেনা এবং দ্রূত পানি নিষ্কাশের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগ দেখামাত্র রিডোলমিল গোল্ড ০.২% হরে প্রয়োগ করতে হবে।
আর গামোসিস (মঁসসড়ংরং) প্রতিকার হল- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন আদিজোড়/রুট স্টক যেমন- রংপুর লাইম, রাফ লেমন, ক্লিওপেট্রা ম্যান্ডারিন, কাটা জামির ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও লিফ মাইনার (খবধভ সরহবৎ) প্রতিকার, যেমন- প্ররিচ্ছন্ন চাষাবাদ করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় লার্ভাসহ আক্রামত্ম পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কচি পাতায় এডমায়ার ২০০ এসএল ০.২৫মি.লি. বা কিনালাক্রা ২৫ ইসি ২ মি.লি. প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।
ফলের মাছি পোকার (ঋৎঁরঃ ভষু) প্রতিকার হল- আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। 

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 8437211145730242117

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item