নির্বাচনে বিএনপি; রংপুরের তৃণমূলে মধ্যে উচ্ছাস

মামুনুর রশীদ মেরাজুল,রংপুর ব্যুরো ঃ
অবশেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এতে সম্মতি জানিয়েছে ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার বেলা দেড়টায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার খবরে উচ্ছাসিত রংপুরের তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে মনে করছেন। একই সাথে দলকে আরো সংগঠিত করা সম্ভব হবে।
পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী আফসার আলী জোটের এই সিদ্ধান্তে খুশি। সরকারসহ নির্বাচন কমিশনকে জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য আহ্বান জানান তিনি। 
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির গঙ্গাচড়া উপজেলা সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান মাবু বলেন, দলীয় প্রধানের মুক্তিসহ আমাদের সকল দাবিই জনগণের দাবি। সংলাপে সরকার আশ্বস্ত করেছে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচনে সমতল ভূমি বাস্তবায়ন করবে। সরকার যদি কথা রাখে তবে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনও সম্ভব হবে।
নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব এমন দাবি করে জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, জনগণ বিএনপিকে নির্বাচনে দেখতে চায়। আওয়ামীলীগের দুঃশাসন, দূর্নীতি ও অনিয়ম ঠেকাতে মানুষ পরিবর্তন চায়। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়া হবে সেই পরিবর্তনের জন্য। এর মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফাও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাকসুর সাবেক জিএস শহিদুল ইসলাম মিজু জানান, দীর্ঘ দশ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়াটা ইতিবাচক।
তিনি বলেন, সরকার নিজের কব্জাতে সবকিছু রেখে একটা ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন করতে চায়। সেই ষড়যন্ত্র রুখতেই বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি অবাধর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ইসির ঘোষিত তফসিল একমাস পেছানোর দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সাথে আন্দোলনও চলবে। দাবি পূরণ হলে বিএনপিকে নির্বাচনে দেখা যাবে। আর যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটবে।
এদিকে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তে খুশি সাধারণ ভোটাররা। তারা মনে করছেন, বিএনপির মত একটি বড় দলের অংশগ্রহণ দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে করে নির্বাচনে জনগণের ভোট উৎসব আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7190924141885445807

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item