সৈয়দপুরে র্যাবের অভিযানে ধরা পড়লো ৮ হাজার পিস ইয়াবার বড় চালান
https://www.obolokon24.com/2018/10/yaba_24.html
নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রায় ৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের খালেদ মার্কেটের সামনে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৩ সিপিসি-১ দিনাজপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল ওই ইয়াবা আটক করে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে। এ সময় বাবু রায় (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে হীরা (৩৩) নামে অন্য মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়েরের পর আসামী বাবু রায়কে গতকাল বুধবার নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১৩ সিপিসি-১ দিনাজপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দলের সদস্যরা খবর পায় যে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা সৈয়দপুরে প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে ওই সব ইয়াবা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। সোর্সের দেওয়া এমন সংবাদেভিত্তিতে র্যাবের দিনাজপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সৈয়দপুরে অবস্থান নেয়। বিকেলে মেজর সোহেল মাহমুদ প্রিন্সের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের খালেদ মার্কেট সংলগ্ন জেনিথ সুজ’র সামনে মোটরসাইকেল চালক বাবু রায়কে (৪০) আটক করেন। এ সময় তার সাথে থাকা কসমেটিক্স সামগ্রীর একটি কার্টুনে ইয়াবার অসংখ্য প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার ওই চালানে ৭ হাজার ৯১০টি ইয়াবা ছিল। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর মাদক ব্যবসায়ী হিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় র্যাবের উপ-পরিচালক এনামুল বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পার্বতীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার আশুতোষ রায়ের পুত্র বাবু রায় ও একই এলাকার আফজালের পুত্র হীরাকে (৩২) আসামী করা হয়। তবে হীরাকে পলাতক দেখানো হয় ওই মামলায়।
র্যাব-১৩ রংপুরের মিডিয়া পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব জানান, রংপুর বিভাগে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ইয়াবার এটি সবচেয়ে বড় চালান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক বাবু মাদকের বড় বড় চালান বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের কথা স্বীকার করেছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা র্যাব কর্তৃক ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বাবু রায়কে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।