জনগণ যেন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনে রাখবেন, আপনারা ডাক্তার। দেশের জনগণ যেন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। মানুষের সেবা দেয়াটা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জনগণের স্বাস্থ্য সেবার জন্য গত ১০ বছরে যেসব প্রতিষ্ঠান করেছি সেগুলো যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।
আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) বুধবার (৩১ অক্টোবর) মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা বাংলাদেশের মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে এ কথাটি বলে গেছেন। সে কারণেই স্বাস্থ্য খাতের দিকে বেশি নজর দিয়েছি। তা ছাড়া দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশের মানুষ যেন সুস্বাস্ব্যের অধিকারী হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের মানুষ পেটের রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগে। আমাদের দেশের জলবায়ু, পরিবেশগত কারণে, চলাফেরা, বন্যা, খরাসহ নানা কারণে মানুষ পেটের পীড়ায় ভোগে। এজন্য একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভবন স্থাপন করলাম। এমন একটি প্রতিষ্ঠান করতে পেরে আমি আনন্দিত।
তিনি বলেন, ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। সামনে নির্বাচন আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তা হলে প্রত্যেক বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন স্বাস্থ্য সেবা পায় সেজন্য বেসরকারি খাতে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তারা যেন ট্যাক্স কম দিয়ে হাসপাতালের সকল ইকুইপমেন্ট ও মোশিনারিজ আমদানি করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় আমরা যেমন দেশের উন্নয়ন করেছি, তেমনি বিশ্বে বাংলাদেশের মান মর্যাদাও বৃদ্ধি করেছি। আগে বিদেশিরা কোনো বাঙালিকে দেখলে বলত খুনি। এখন আর তা বলে না। বাংলাদেশের হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এ জন্য আমি গর্বিত।
তিনি বলেন, বিদেশি অনেক রাষ্ট্রপ্রধান আমাকে প্রশ্ন করেন- কীভাবে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন করছেন? ম্যাজিকটা কী? উত্তরে আমার একটাই কথা, তা হলো- আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দিনরাত কাজ করি শুধু জনগণের জন্য। বঙ্গবন্ধু যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। জনগণ যদি আবার ক্ষমতায় আনে তা হলে যেসব কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলাম সেগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করে উদ্বোধনের ব্যবস্থা করব।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের আলোকে ইন্টারনেট সার্ভিসের মাধ্যমে ও মোবাইলফোনের ব্যবহারে এখন মানুষ ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন। প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।এ সময় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, রোগ নির্ণয় এবং তার প্রতিকারে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা গবেষণার ওপর জোর দেন। দেশের মানুষ কী ধরনের রোগ হয়, কী মাত্রায় তারা ভোগে এবং এর সমাধানে আপনাদের জন্য কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমরা প্রথম টার্ম থেকে কাজ করে আসছি। আমাদের তিন টার্মে বিশেষায়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগীরা স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা নিতে পারছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইনস্টিটিউট, নাক-কান গলা ইনস্টিটিউট, ক্যান্সার ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন। এসব প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানে উন্নিত করার জন্য সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, চিকিৎসক, নার্সসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6491904522324483058

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item