পীরগঞ্জে ভাস্কর্য ‘আলোক বর্তিকা’ ভাংচুর ঘটনায় মামলা, পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য

মামুনুর রশীদ মেরাজুল,রংপুর ব্যুরো ঃ

‘আমরা ভোরে মসজিদের মক্তব থেকে আরবী পড়ে বাড়ী ফেরার পথে খুব জোরে শব্দ শুনতে পাই। পরে দেখি বাঁশের সাথে লাগানো জমাট বাঁধা মাটি খসে খসে পড়ছে আর শব্দ হচ্ছে।’ পীরগঞ্জে বেগম রোকেয়ার ‘আলোক বর্তিকা’ ভাস্কর্য ভেঙ্গে পড়ার প্রত্যক্ষদর্শী মক্তব পড়–য়া ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী নুরী খাতুন কথাগুলো বলেন। ওই সময় তার সাথে থাকা বর্ষাসহ আরও কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী একই কথা বলে। অপরদিকে মকিমপুরের মেহেদী হাসানের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা স্বপ্না বেগমও বলেন, প্রতিদিনই ভোরে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করি। একটা জোরে শব্দ হওয়ার সাথে দেখি অনিক রেজার বাড়ীর উঠোনে বাঁশ অঅর মাটি দিয়ে কি যেন একটা করা হচ্ছিল। সেটি থেকে এমনিতেই মাটি খুলে পড়ছে। গত শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মকিমপুর গ্রামে ভাস্কর অনিক রেজার বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় অনিক রেজার সহকারী ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরের পুলিশ সুপার, পীরগঞ্জ পৌর মেয়রসহ পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।গ্রামবাসী, পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের বাড়ীতে অস্থায়ী স্টুডিও করে ভাস্কর শাহ মোঃ সামস ই রেজা (অনিক রেজা) বাঁশ-মাটি আর অন্যান্য উপকরন দিয়ে ২ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের মুর‌্যাল তৈরী করে আসছেন। তার বাড়ীর উঠোনে ইটের তৈরী ষ্টেজের উপর বাঁশ দিয়ে স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ করে কয়েকদিন হলো বেগম রোকেয়ার ‘আলোক বর্তিকা’ নামে একটি ভাস্কর্য তৈরী করছেন। গত শনিবার সকালে ‘আলোক বর্তিকা’ ভেঙ্গে ফেলেছে মর্মে অনিক রেজা পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন।]
ওই ঘটনায় থানায় মামলাটি করেন ভাস্কর অনিক রেজার সহকারী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চিনুইল গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে অনোয়ারুল কবির টগর। এ ব্যাপারে মকিমপুরের বয়োজেষ্ঠ্য জোহা মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এখানে কোন দুর্বৃত্ত নেই যে ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলবে। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। এ ঘটনায় আমাদের গ্রামের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। ভাস্কর্য তৈরীর শ্রমিক রফিকুল ইসলাম ও মাহবুব মিয়া বলেন, আমরা ভাস্কর্যটি ২ দিনেি ১৪ ফুট উচু করেছি। জমাট না বাঁধায় হয়তো কাঁদা গলে পড়ে গেছে। তারা আরও জানায়, মাটির তৈরী ঘরের দেয়াল নির্মান করলেও একদিনে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি পরিমান উচ্চতার গাথুঁনি দেয়া হয়। গতকাল বিকেলে রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, ডি-সার্কেলের এএসপি হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) মাসুমুর রহমান বলেন, তদন্ত চলছে। এখনই কিছু বলা যাবে না। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। গ্রামবাসী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2587867685296487893

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item