পঞ্চগড়ে সরকারী গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ

সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়


পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নে ইউপি সদস্য দেবেশ্বর ও তার ভাই অনিল চন্দ্রের বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। জানা যায়, কামাত কাজল দিঘী ইউনিয়নের  শিপাই পাড়া এলাকায় অনিল চন্দ্রের বাড়ি হইতে ডাঙ্গা পাড়া গোরস্থান পর্যন্ত ঘাটিয়া পাড়া গ্রামের  সরকারী রেকর্ড ভুক্ত রাস্তার  ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে  আত্মসাত করেছে  বলে অভিযোগ করে স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় তবিবর রহমান,লিহাজ আলী,নাজির হোসেন,সায়মুন জানান,সরকারী রাস্তায় গত ৭/৮ বছর পূর্বে গাছ রোপন করে সদর উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দেবেশ্বর কিছু দিন আগে এই রাস্তার উপজেলা প্রশাসনের লাগানো  ২৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়ে যায়। গত ২৭ (অক্টো) ইউপি সদস্য দেবেশ্বর এর ভাই অনিল চন্দ্র  প্রভাব খাটিয়ে সরকারী রাস্তার গাছ কাটে। স্থানীয় লোকজন গাছ কাটার বাধা দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় অনিল চন্দ্র ৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনিল চন্দ্রের স্ত্রী রঞ্জনা জানায়, আমাদের জমির পাশে গাছ তাই আমরা কেটেছি। 

ঘটনা জানাজানি হলে ঐ দিন (২৭ অক্টো) বিকালে  গাছগুলো স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদার জাহাঙ্গীর আলম উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে  জমা দেয়।

এ দিকে গাছ কাটার বিষয়ে অনিল চন্দ্র বলেন,ঐ রাস্তার পাশে আমার জমি তাই আমি  গাছ কেটেছি। ইউপি সদস্য দেবেশ্বর জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়, আমি ২৮টি গাছ কাটিনি, আমি ৭টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছিলাম।

এ বিষয়ে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী জানান,গাছগুলো তহসিলদার জব্দ করে পরিষদে জমা দিয়েছে। কামাত কাজল দিঘী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকারী গাছ বেআইনিভাবে কেটেছে আমি গাছ গুলো জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা করেছি। এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পঞ্চগড় সদর, পঞ্চগড় কামরুজ্জামান জানান  সরকারী রাস্তার  গাছ  কেটেছে আমি শুনেছি, গাছ গুলো জব্দ করা হয়েছে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 880186803169093184

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item