নীলফামারীতে বিদ্যালয় মাঠে কারখানার বর্জ্য॥ অস্বস্থিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
একটি শিল্পকারখানা বর্জ্য নীলফামারী সদরের ফুলতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এক প্রান্তে ফেলা হচ্ছে। ফলে ওই সকল বর্জ্যরে দূর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি অস্বস্তিতে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দারা।
আজ শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) স্থানীয়রা জানায়, উত্তরা ইপিজেডের একটি কারখানা থেকে ট্রাকে এনে জনৈক মাহবুব নামের একজন ঠিকাদার ওই বর্জ্য ফেলেছে। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মজিবুল হক উত্তরা ইপিজেডের ভেনচুড়া ফ্যাক্টরী বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বর্জ্য ফেলার পর থেকে এলাকায় অসহ্য গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
ওই বিদ্যালয়ের সঙ্গেই বাড়ী সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জেবা আফ্রিয়া বলে,‘ দূর্গন্ধের কারনে ক্লাসে থাকা যায় না। লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না। মাঠে খেলা ধুলাও করা যাচ্ছে না।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আলিফ ইসলাম বলে,‘ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশেই আমার বাড়ি, বাড়িতেও দূর্গন্ধ আসে, দূর্গন্ধের কারনে বিদ্যালয়েও থাকা যায় না। এতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার ব্যাঘাত হচ্ছে, বাড়িতেও লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না।
এ ব্যাপারে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মজিবুল হক বলেন,‘অভিযোগের পর বর্জ্য ফেলানো বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ফেলানো বর্জ্য অপসারনের কথা ছিল। সেটি না করায় সমস্যা হচ্ছে।
সুত্র জানায়, উত্তরা ইপিজেড থেকে বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য অপসারণে ঠিকাদার নিযুক্ত রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই কারখানার বর্জ্য অপসারণ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ওই বর্জ্য আমি ফেলিনি। আমার কাছ থেকে কিনে নিয়ে অন্যজন ফেলেছে।
পরে খোজ নিয়ে জানা যায় কুতুব উদ্দিনের ঠিকাদারী লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে জনৈক মাহবুব নামের একজন ঠিকাদার ওই বর্জ্য সেখানে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে মাহবুব ঠিকাদার সাংবাদিকদের বলেন আমি মেসার্স কুতুব উদ্দিনের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে বর্জ্য অপসারণ করি। লেবু মিয়া নামের এক ব্যাক্তি আমার কাছ থেকে বর্জ্য নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে ডোবা ভরাট করার কথা বলে নিয়েছেন। আমি তাদের বলেছিলাম বর্জ্য ফেলার পর সেখানে মাটি চাপা দিতে। এদিকে উক্ত লেবু মিয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে এটা বুঝতে পারিনি।
এ বিষয়ে ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এসব গার্মেন্টস ওয়েস্ট (বর্জ্য) আমরা ফেলি না। আমাদের নিযুক্ত ঠিকাদার অপসারন করে থাকেন।
প্রধান শিক্ষকের ওই পত্রটি পাওয়ার পর আমি বিষয়টি জেনেছি। সেখানে একটি ডোবা বন্ধ করার জন্য আমাদের নিযুক্ত লোকের কাছ থেকে ওই এলাকার লেবু মিয়া বর্জ্য নিয়ে ফেলেছেন।
যারা নিয়ে গেছেন দায়িত্ব তাদেরই। এরপরও বিষয়টি নিয়ে আমি লেবু মিয়া এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উত্তরা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক এসএম আখতার আলম মোস্তাফি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4816987668681359221

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item