লালমনিরহাট-১ আসনে বড় দু’দলে একাধিক প্রার্থী, একক প্রার্থী নিয়ে স্বস্তিতে জাপা

 লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন একাধিক প্রার্থী। তবে জাতীয় পার্টি (জাপা) এখানে বেশ স্বস্তিতেই আছে একক প্রার্থী নিয়ে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ করছেন।

বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। তিনি এর আগে ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হন হাতীবান্ধা এলাকার এই রাজনৈতিক নেতা।

তিনি ছাড়াও এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে সক্রিয় রয়েছেন- পাটগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বুড়িমারী স্থলবন্দর অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবুল।

তিনবারের এমপি মোতাহার হোসেন ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তিনি। আবারও মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি এলাকায় সভা-সেমিনার ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে সরকারের অবস্থান ও উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরছেন। নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি দোয়া চাইছেন ভোটারদের কাছে।

এ প্রসঙ্গে সাংসদ মোতাহার হোসেন জানান, এ অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখে তিনি তাদের পাশে ছিলেন, আছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তারা বদ্ধপরিকর। আগামী নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দেবেন বলে বিশ্বাস রয়েছে তার।

মনোনয়নপ্রত্যাশী পাটগ্রামের উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, তিনি দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দিচ্ছেন। মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আসনটি উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের যুগ্ন-সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আকন্দ।

আইন পেশায় নিয়োজিত হাতীবান্ধা  উপজেলার নেতা উজ্জল স্থানীয় নেতাকর্মীদের সকল প্রকার আইনি সহায়তা দিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। উজ্জল ঢাকায় অবস্থান করলেও প্রায়ই নির্বাচনী এলাকায় এসে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করছেন। কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিগুলোতেও অংশগ্রহণ রয়েছে তার।

মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল তিনি জানান, মনোনয়ন নিয়ে তিনি কোনো প্রকার চিন্তিত না। কারণ তিনি মনোনয়নের জন্য নয়, দল ও এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। দল তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান তিনিও আইন আইন পেশায় নিয়োজিত হাতীবান্ধা  উপজেলার নেতা উজ্জল স্থানীয় নেতাকর্মীদের সকল প্রকার আইনি সহায়তা দিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।তিনি কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিগুলোতেও অংশগ্রহণ ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ করছেন।

এছারা হাতীবান্ধা উপজেলার অধিবাসী বিএনপি নেতা শাহীন আকন্দ প্রায় সময় নির্বাচনী এলাকায় এসে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করছেন।তিনি দুস্থ মানুষের জন্য নানা কাজ করছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় বলে জানা গেছে।

এদিকে দলের প্রধান বা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছ থেকে সম্মতি নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার। যদিও কিছু দিন আগে মাঠে দলটির তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি। তবে এখন তার নেতাকর্মীরা ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ করছেন।

এর আগের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ঐক্যের স্বার্থে আসনটি ছেড়ে দেয় জাপা। মনোনয়নপ্রত্যাশী খালেদ আখতার জানান, তিনি চাইছেন, জাপার হারানো আসন পুনরুদ্ধার করে এ অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের উন্নয়ন ঘটাতে। তাই পার্টিপ্রধানের নির্দেশ পেয়েই তিনি মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন।

এ আসনে জামায়াতের আগে শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে জামায়াতের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। দলটির কিছু ভোট থাকলেও যোগ্য প্রার্থীর সংকট রয়েছে। ০৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জামায়াতের তাণ্ডবে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা এলাকায় মাসব্যাপী জ্বালাও-পোড়াওয়ে ছয়জন নিহত হন। ওই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে জামায়াত সর্ম্পকে ব্যাপক নেতিবাচক ধারণার জন্ম নিয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

লালমনিরহাট 818952840562395368

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item