নাগেশ্বরীতে মরিচ চাষে সাফল্যের মুখ দেখছেন চাষিরা

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার  সম্ভাবনা



হাফিজুুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মরিচ চাষে সাফল্যের মুখ দেখছেন চাষিরা। তাই মরিচ চাষে কোমর বেঁধে পরিচর্যায় নেমেছেন তারা। আর এই মরিচ চাষে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে এ উপজেলার চাষিদের মাঝে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মরিচের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষিরা। উপজেলার হাসনাবাদ, সন্তোসপুর, রামখানা, বল্লভেরখাস, বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ি, নারায়নপুর, নুনখাওয়া, কচাকাটা, কালীগঞ্জ ইউনিয়নসহ আরও অনেক অঞ্চলে মরিচের চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে এই মরিচ চাষের প্রবণতাটা অনেক বেশি  বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষি অফিস জানায় এ বছর ৩শ হেক্টর জমিতে মরিচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনও অনেকে মরিচ চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন এবং জমিতে মচির লাগাচ্ছেন। গত বছর মরিচের দাম ভালো পাওয়ায় এবার মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শীতকালে মরিচের চাহিদা বেশি থাকে এবং এই সময় প্রতি মণ মরিচের মূল্য প্রায় ১হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত। তাই কৃষি অফিস থেকে মরিচ চাষের সঠিক পদ্ধতি, সার ও কীটনাশক ব্যবহার পরামর্শসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতাও পাচ্ছেন কৃষকরা। কথা হয় পৌরসভার বাগডাঙ্গা গিরাইপাড় এলাকার চাষি মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি জানান এবারে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। গত বছরে মাত্র আধা বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করে ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ায় এবার ১ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন তিনি। এবারও আশানুরুপ ভালো ফল পাবেন বলে আশা করছেন। অল্প পরিচর্যা এবং স্বল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় সকলেই মরিচ চাষে এগিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি। চাষি মিজানুর রহমান বলেন, এবার বসত ভিটায় মরিচ চাষ করছি। পরেরবার ইচ্ছা আছে কয়েক বিঘা জমিতে চাষ করার। কৃষি অফিস থেকে সঠিক সময়ে সঠিক সহযোগিতা পেলে অনেকেই মরিচ চাষে এগিয়ে আসবে। এতে করে এ অঞ্চলের মরিচের চাহিদা পূরণ হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুজ্জামান বলেন, মরিচ চাষে অনেক লাভবান হওয়া যায়। আমরা এ ব্যাপারে কৃষকদের যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

পুরোনো সংবাদ

কৃষিকথা 4955499467954929393

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item