নীলফামারী কিশোরগঞ্জ সড়কে যাতায়াতকারী পথচারীদের গলার কাটা এক কিলোমিটার সড়ক

 মো: শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর ভায়া  প পুকুর বাইপাস সড়কের  মাঝখানে নিলু চেীধুরীর বাড়ি থেকে চাঁড়ালকাটা নদীর বাজিতপাড়া ঘাটের  উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক পর্যন্ত   ১কিলোমিটার সড়ক পথচারীদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ওই এক কিলোমিটার সড়ক পাকা না হওয়ার কারনে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারী-জেলাশহর  হতে কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরে খুব সহজে ও অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য বর্তমান সরকারের আমলে বাইপাস সড়কের চাঁড়ালকাটা নদীর বাজিতপাড়া ঘাটের উপর ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৪৪ মিটার আরসিসি গাডার ব্রীজ নির্মান করে সরকার। ব্রীজ নির্মান শেষ করার পর নীলফামারী সদর উপজেলার বাবুর হাট থেকে ব্রীজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়  এক কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যায়ে আরো ১২০০ মিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়। কিন্তু কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের নিলু চৌধুরীর বাড়ি থেকে ব্রীজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন থেকে পাকা করন না করার কারনে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। শুধু ওই এক কিলোমিটার সড়ক পাকা না হওয়ার কারনে ওই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত ব্রীজটি কাজে আসছেনা।
কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, নীলফামারী থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুরত্ব ২৪ কিলোমিটার । কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে টেংগনমারী পর্যন্ত দশ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী। তাই কিশোরগঞ্জে মানুষ সহজেই কালিকাপুর প পুকুর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারত। কিন্তু ওই এক কিলোমিটার সড়ক পাকা না হওয়ার কারনে মাইক্রোবাস, ট্রাক,বাস সহ ভারী যান চলাচল সম্ভব হচ্ছেনা। 
সাদুরারপুল গ্রামের বাসিন্দা ও নীলফামারী সরকারী কলেজের ছাত্রী উম্মে হাবিবা  বলেন, চাড়ালকাটা নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের ফলে আমরা ভেবেছিলাম এখন খুব সহজেই নীলফামারীতে যেতে পারব। কিন্তু ওই এক কিলোমিটার সড়ক পারি দিতেই ভ্যানভাড়া ২০ টাকা দিতে হয়। কাজেই ওই এক কিলোমিটার সড়ক দুই উপজেলার যাতায়াতকারী পথচারীদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকেীশলী এস এম কেরামত আলী নান্নু বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে নীলফামারীর দুরত্ব ২৪ কিলোমিটার কিন্তু কালিকাপুর দিয়ে চাঁরালকাটা নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের ফলে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার  দুরত্ব কমে গেছে।  এক কিলোমিটার সড়ক পাকা না হওয়ার কারনে ওই সড়ক দিয়ে ভারী যানচলাচল করতে পারছেনা । আমরা ওই এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করার সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। খুব তাড়াতাড়ি সড়ক পাকা করা হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3970128495627613211

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item