চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ড

  অনলাইন ডেস্ক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার আসামির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দেন আদালত। 
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলার আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী পলাতক।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর আদালত রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন। আজ রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। চিকিৎসাধীন থাকার কারণে খালেদা জিয়াও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
দুদকের করা আরেক মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 5261430024704203128

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item