ডোমারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ছাত্রীর ভাতা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার ঃ
নীলফামারীর ডোমারে বামুনিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ছাত্রীর ভাতা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে । তার শাস্তির দাবীতে গত বুধবার (০৩/১০/১৮ইং ) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন প্রতিবন্ধী ছাত্রীর অভিভাবক ।এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।
জানা গেছে,উপজেলার  বামুনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী  সুমিত্রা রানী ,পিতাঃ যশরত রায় , শ্রেনী ঃ অষ্টম ,রোল -১৮ এবং  মুন্নী রানী রায়,পিতাঃ রাম দুলাল রায় ,অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী  বিগত  ২০১৬ ও ২০১৭  সালে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে  প্রতিবন্ধীর ভাতার জন্য তালিকাভুক্ত হয় । বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক  ময়বুল ইসলাম গত ২০১৬ সালে অন্য ছাত্রী দ্বারা ১৪,৪০০/ ( চৌদ্দ  হাজার চারশত )টাকা আত্মসাৎ করেন ।চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর  আবার নিজের মেয়েকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে সোনালী ব্যাংক ডোমার শাখার থেকে =১৪৪০০/ (চৌদ্দ হাজার চারশত ) টাকা তুলে নেন ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক সফিয়ার রহমান,মোস্তফা আলম, ফজলুল হক,মহাফেজুল হকের উপস্থিতিতে অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী  খাদিজাতুল কবরা  (রোল-১) ,মাসুমা আখতার (রোল- ২), কৃষ্ণা রায় (রোল-৩)  সহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, হেড স্যারের মেয়ে  নবম শ্রেনীর ছাত্রী মিসকাতুন (যার রোল নং ৪)  সকলের সামনেই সাংবাদিকদের জানায় , ঘড়ি কিনতে আব্বুর সাথে ডোমার বাজারে নিয়ে গিয়েছিলাম ।আব্বু বলল,একটা মেয়ে আসেনি,তুমি স্বাক্ষর দাও ।এর পর ব্যাংক থেকে ৭২০০ / (সাত হাজার দুইশত ) টাকা তুলি ।
অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী প্রতীবন্ধী সুমিত্রা  (রোল-১৮) উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনেই জানায়,আমি কোন টাকা তুলিনি ।(জানাজানি হওয়ার পর) বাড়িতে গিয়ে বাবাকে দুই হাজার টাকা দিয়ে এসেছে ।আমাকে ব্যাংকে নিয়ে  যায়নি ।কিসের টাকা জানিনা ।
প্রধানশিক্ষকের মেয়ে  নবম শ্রেনীর ছাত্রী মিসকাতুন (যার রোল নং ৪)  সকলের সামনেই সাংবাদিকদের জানায়, ঘড়ি কিনতে আব্বুর সাথে ডোমার বাজারে নিয়ে গিয়েছিলাম ।আব্বু বলল,একটা মেয়ে আসেনি,তুমি স্বাক্ষর দাও ।
ডোমার উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজসেবা কর্মী প্রভাত চন্দ্র রায় জানান, আমিও ব্যাপারটা শুনেছি ।হেডস্যার মাষ্টার যে ছবি দিয়েছে ।সেই মেয়ে এসে চেক নিয়ে গেছে ।জনবলের সংকঠের কারনে সব চেক করা সম্ভব হয়না ।
বামুনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক  ময়বুল ইসলাম জানান,আমার বাচ্চাটাকে ভয় দেখিয়ে লিখে নেয় । দুজন শিক্ষক আমার বিপক্ষে আছে ।আমার মেয়ে জানায়,স্যাররা বলেছে লিখে দাও ,কোন অসুবিধা নাই ।তাই আমি দিছি ।যাই হোক,ক্ষমা সুন্দন দৃষ্টিতে দেখেন ।এটাই আপনার কাছে আবেদন ।
ডোমার উপজেলা নিবার্হী অফিসার উম্মে ফাতিমা জানান, অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি দেখছি ।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 213287077100078600

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item