পীরগাছায় আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দিশেহারা চাষীরা

ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)ঃ

রংপুরের পীরগাছায় অনাবৃষ্টিসহ আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ও রোগ-বালাইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ধান চাষীরা। এ পরিস্থিতিতেও কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। আমন ক্ষেতে সরেজমিন গেলে চাষীরা জানান, বৃষ্টি না হলেও সেচ দিয়েই আমনের আবাদ করছেন তারা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাম্পার ফলনের। কিন্তু ক্ষেতের ধানে হঠাৎ করে খোলপচা ও গোড়াপচা রোগের পাশাপাশি মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারের কীটনাশক দিয়েও এসব পোকার আক্রমণ ও রোগ ঠেকাতে পারছেন না চাষীরা । ফলে আমন ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মৌসুমের শুরু থেকেই খরার কবলে পরে কৃষক। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে জমিতে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেন।  পরবর্তীতেও কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র খরা দেখা দেওয়ায় আমনের আবাদ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। খরা মোকাবিলায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চাষীরা ইতিমধ্যে গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে জমিতে পানি দিচ্ছেন। এ ছাড়া বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচালিত গভীর নলকূপ দিয়ে চাষীরা জমিতে সেচ দিচ্ছে।
উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের নজর মামুদ গ্রামের চাষী আকবর আলী  জানান, বৃষ্টিহীন আশি^নের খরতাপে তাঁদের এলাকায় প্রায় ৬০-৭০ ভাগ আমন খেতে খোলপচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এখন ধানগাছ বেড়ে উঠছে; ঠিক এই সময় আমনের খেতে ব্যাপক হারে খোলপচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকেরা কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। খোলপচা রোগে ধানের চারাগাছ হলুদ হয়ে গেছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
এমন বিপদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাউকে পরামর্শের জন্য পাশে পাচ্ছেন না বলে চাষীদের অভিযোগ। চাষীরা আরো বলেন, শুধুমাত্র বিভিন্ন মাঠ দিবসে উপজেলা কৃষি অফিসের লোকজনকে দেখা যায়।
কান্দি ইউনিয়নের বালার দীঘি গ্রামের চাষী আনছার আলী জানান, খোলপচা রোগে জমির সবুজ ধানগাছ হলুুদ বর্ণ ধারণ করেছে। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বর্গাচাষিরা। জমিতে চারা লাগানোর পর ধান গাছ বেড়ে ওঠার সময় হঠাৎ ব্যাপক হারে খোলপচা রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। বাজার থেকে কীটনাশক এনে জমিতে ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমনের আবাদ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, ধানগাছের হলুদ বর্ণ রোধে ও পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান জমিতে খোলপচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা লিফলেট বিতরণসহ চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1914087037324506606

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item