জীবন যুদ্ধে পরাজয় মানতে নারাজ হরিপুরের খদুলাল বর্ম্মন

জে.ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

জে.ইতি-
খদুলাল বর্ম্মন। বয়স ৮০‘র গ-ি পেরিয়েছে। সফেদ রঙ ধারণ করেছে মাথার সবকটি চুল। ভর্তি দাড়িরও একই অবস্থা। রুটি-রুজির জন্য এই বয়সেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত করেন হাড় ভাঙ্গা খাটুনি।
জীবন যুদ্ধে পরাজয় মানতে নারাজ ষাটোর্ধ্ব খদুলাল বর্ম্মন পেশায় একজন লাঙ্গল তৈরির কারিগড়। জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে মাত্র ১০ বছর বয়সে যোগ দেন গানদলে। শুরুতে ছিলেন গায়ক। কয়েক বছর যাওয়ার পর আর গান চলে না গ্রামগঞ্জে।
এরপর শ্রমিক হিসাবে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতে হয় ৪ বছর। শুরু হয় দেশ স্বাধীন করার কাজ কয়েক দিন এলাকার মুক্তিযোদ্ধার সহযোগিতা করতে গিয়ে চরম ভয়ের মুখে পরেন। মা‘র ডাকে চলে যান ভারতে। মাতৃভূমী জয় হওয়ার পর ভারত থেকে দেশে এসে লাগে পরেন লাঙ্গল তৈরির কাজে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ৩০০ টাকা। এ দিয়েই চলে দু’জনের সংসার।
গতকাল সোমবার (১০ সেপ্টম্বর) দুপুরে কাজের ফাঁকে জীবন গল্পের কিছু অংশ শোনান তিনি।
হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়ন মেন্দ্ররগাঁও (জিগাঁ) গ্রামে জন্ম নেওয়া খদুলাল বর্ম্মন এর পিতা মৃত আকালু বর্ম্মন মারা যায় যখন খদুলাল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
 তিনি আরো জানান, ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়। তাই সংসারের ভার তার উপরে পরে।
খদুলাল বিয়ে করেছেন দুই টা। প্রথম স্ত্রী বাতাসি রাণী তিন ছেলে এক মেয়ে রেখে মারা যাই।
এরপর খদুলাল ছোট বাচ্চাদের লালন-পালন করার জন্য মলমলি রাণী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। মলমলি রাণীর দুই ছেলে এক মেয়ে। দারিদ্রতার কারণ প্রাইমারি স্কুলের গ-ি পেরুতে পারেনি ৭ ছেলে মেয়ের কেউ। শারীরিক পরিশ্রম করেই বড় করেছেন ছেলে-মেয়েদের। বড় মেয়েকে ৫০ হাজার আর ছোট মেয়েকে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। সংসার পেতেছে ছেলেরাও।
খদুলাল এর নাতিপতি ১৫ জন।
বিয়ের পর একে একে পাঁচ ছেলেই ছেড়ে গেছে। মেয়েরাও সংসার নিয়ে ব্যস্ত। বৃদ্ধা স্ত্রী ও নিজের পেটের খোরাক জোটাতে বাধ্য হয়েই এখনো সেই একই কাজে রয়েছেন তিনি।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 1916001829842318374

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item