সৈয়দপুরে ব্যস্ততম সড়কে বিদ্যূতের ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমা ॥ যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর  সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে কোহিনুর ম্যানসনের সামনে বিদ্যূতের ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমা বসানো হয়েছে। ফলে যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে শহরবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের উল্লিখিত এলাকায় খুঁটির ওপর ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমা রয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর আকস্মিক ওই ট্রান্সফরমা পুঁড়ে যায়। এতে করে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সৈয়দপুর বিদ্যূৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সেখানে সড়কে লোহার খাঁচায় থাকা একটি ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমা স্থাপন করে।
 বিদ্যূৎ বিভাগের একটি সূত্রে জানা যায়, খুঁটিতে স্থাপিত বৈদ্যূতিক ট্রান্সফরমার বিকল হলে বিদ্যূৎ বিভাগ থেকে সেখানে তাৎক্ষনিক একটি ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে বিদ্যূৎ সরবরাহ সচল রাখা হয়। মূলতঃ বিকল হওয়া ট্রান্সফরমাটি পুনঃস্থাপন করার সময়টুকু পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু থাকার কথা। কিন্তু শহরের প্রধান সড়কে বসানো ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমাটি গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর দুুপুর সময় পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়নি। যদিও  ইতোমধ্যে এটি বসানোর বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। আর ট্রান্সফরমাটি যে সড়কে বসানো হয়েছে সেটি সৈয়দপুর শহরের  একটি প্রধানতম সড়ক ও অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। ওই সড়কে দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক-বীমার মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান।  ফলে দিনরাত ২৪ ঘন্টা বিপুল স্যংখক মানুষ চলাচল করে  ওই সড়কটি দিয়ে। চলে দ্রুতগতির  সব যান্ত্রিক যানবাহন। এ সবের মধ্যে রয়েছে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিক্সা, রিক্সাভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ প্রভূতি।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুুপুরে শহরের ওই সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই চাকা বিশিষ্ট একটি লোহার খাঁচা। ট্রলির মতো দেখতে। ওই খাঁচার ভেতরে একটি বৈদ্যূতিক ট্রান্সফরমা। খাঁচার গায়ে স্টিলের প্লেটে ইংরেজিতে ‘ডেঞ্জার’ (বিপদজনক) এবং ‘১১০০০ ভোল্ট’ লেখা রয়েছে। আর ব্যস্ততম সড়কের পাশে রাখা ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমাটি ঘেঁষে অনবরত সকল রকম যানবাহনসহ সব বয়সী মানুষ চলাচল করছে। তবে পুঁড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমাটি বৈদ্যূতিক খুঁটির মধ্যে রয়েছে এখনও।
ট্রান্সফরমাটির ঠিক নিচে রয়েছে  প্লাষ্টিক ও ফার্নিচারের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকানপাট। সেখানকার মেসার্স জিয়া প্লাষ্টিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স দোকানের মালিক মো. জিয়াউল হক বলেন, বেশ কয়েক দিন আগে ট্রান্সফরমাটি পুঁড়ে গেছে। পরদিন বিদ্যূৎ বিভাগ সড়কে ওই ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমাটি বসানো হয়। সেই থেকে ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমাটি সেখানে রয়েছে।
 ট্রান্সফরমাটির সন্নিকটের হাসান বুক হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী  মো. সাইফুল ইসলাম টুটুল বলেন, এ সড়কটি  শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ  সড়ক। অথচ এ ব্যস্তততম সড়কে র ওপর একটি ভ্রাম্যমান ট্রান্সফমরমা বসিয়ে রেখেছে বিদ্যূৎ বিভাগ। দ্রুত সরিয়ে নেওয়ারও  কোন লক্ষণ দেখছি না। সড়কের ওপর থাকা ট্রান্সফরমাটির নিয়ে আমার ভীষণ ভয় লাগে। আমার দোকানে সব সময় স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বইপত্র কিনতে আসেন। অনেক সময় অভিভাবকরা ছোট  শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আসেন দোকানে।  কে যে কখন দূর্ঘটনার শিকার হন ?
ব্যাটারিচালিত রিক্সাভান  চালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই সড়কের আমি রিকশা ভ্যান চালায়। রাস্তার ওপর এমন   বিপদজনক একটি  জিনিস রাখা হয়েছে ! কখন যে লোকজন দূর্ঘটনার শিকার হয় বলা মুশকিল।
এ নিয়ে কথা বলার জন্য আজ(মঙ্গলবার) ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দপুর বিদ্যূৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রে উপ-সহকারি প্রকৌশলী প্রাণ কৃষ্ণের মুঠোফোন ০১৭৬৮-৮৪০৮২৬ নম্বর যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
 সৈয়দপুর বিদ্যূৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, খুঁটির ট্রান্সফরমাটি পুঁড়ে যাওয়ায় এলাকার বিদ্যূৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমাটি বসানো হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমা বরাদ্দ পেতে কাজ চলছে। নতুন ট্রান্সফরমা এলে ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমাটি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8861371720860105544

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item