সৈয়দপুরে সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে রা’বি, সাবেক রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার আবদুস্ সালাম বলেছেন, সুপ্ত প্রতিভা বিকশিতই হচ্ছে জ্ঞান। আর তাই তথ্যকে জ্ঞানে রূপান্তরিত করতে হবে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা রয়েছে। মানুষ মূলতঃ বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণী। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন প্রত্যেককে আবিস্কারক হতে হবে। শিক্ষা মানে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট নয়। সার্টিফিকেট দিয়ে জীবনযাপন হবে না। মুখস্থ নয়, আত্বস্ত করতে হবে।
 তিনি  আরো বলেন, মানুষের সুকুমার বৃত্তি আছে বলে অন্য প্রাণী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মানুষ সুন্দর ও সত্যের পূজারী। তাই পৃথিবীর রূপ, রস ও প্রকৃতিকে মানুষ নিজেদের মধ্যে নিতে চায়।                                                                                   
 তিনি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় মিলনায়তনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীরওই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুস্ সালাম।
 অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শাহ্ মো. আমির আলী আজাদ, নীলফামারী জজ কোর্ট এর আইনজীবী তুষার কান্তি রায় এবং কবি ও সাংবাদিক কাজী জাহিদ।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন।
 আলোচনা সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি হাবিব খান রকেট।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা অংশ নেন সাংবাদিক এম আল আলম ঝন্টু, কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার আকমল সরকার রাজু, সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দিনাজপুর হলিল্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক পাভেল রায়হান এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৈকত বসুনিয়া প্রমূখ।
 পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত তিনটি গ্রুপে স্ব-রচিত কবিতা ও গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাক্তন রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুস্ সালাম  প্রতিযোিগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
 সবশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্পীরা ও সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের সদস্যরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
 অনুষ্ঠানে আমিন্ত্রত অতিথি, সুধীজন, সাংবাদিক, কবি ,সাহিত্যিক, শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ,শিক্ষার্থী ছাড়াও সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান বিপুল সংখ্যক সদস্য-সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।         

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 8433391396820173755

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item