সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের দশটি বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে এ কি কান্ড
https://www.obolokon24.com/2018/09/saidpur_11.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনিতে দশটি বৈদ্যুতিক পাখা (সিলিংফ্যান) লাগানো এবং খুলে নেয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃস্টি করেছে। এ নিয়ে ষ্টেশন মাষ্টার ও সৈয়দপুর রেলওয়ে বিদ্যূৎ বিভাগের পাওয়ার হাউজ শাখা পরস্পর বক্তব্য দিয়েছে। তবে মঙ্গলবার পুনরায় সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনিতে দশটি বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়।
জানা যায় সৈয়দপুর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনিতে বৈদ্যুতিক পাখা লাগানোর বরাদ্দ ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়। চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ওই বৈদ্যুতিক পাখাগুলো লাগানো হয়। আবার হঠাৎ করে ৯ সেপ্টেম্বর ওই বৈদ্যুতিক পাখা গুলো রেলওয়ে বিদ্যূৎ বিভাগের পাওয়ার হাউজ শাখা খুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ের বিভাগীয় বৈদ্যূতিক বিভাগের পাওয়ার হাউজ শাখার উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, স্টেশনে প্লাটফর্মে লাগানো ফ্যানগুলোর বিষয়ে স্টেশন মাস্টার লিখিত না দেওয়ায় সে সব খুলে এনে রাখা হয়েছিল। কারণ এসব সরকারি সম্পদ চুরি হয়ে গেলে এর দায়দায়িত্ব কে নিবে ? পরে বিষয়টি সমাধান হলে মঙ্গলবার সকালে পুনরায় লাগিয়ে দেয়া হয়।
অপর দিকে সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টার মো. শওকত আলী সাংবাদিকদের বললেন অন্য কথা। তিনি জানান ৫ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে বৈদ্যূতিক বিভাগের পক্ষে প্লাটফমের্র যাত্রী ছাউনিতে ১০ টি সিলিং ফ্যান লাগানোর হয়। অথচ তারা সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৪৩ টি সিলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিত দাবি করে। কারন ১০ বৈদ্যুতিক পাখার পরিবর্তে ৪৩টি বুঝিয়ে পেয়েছি এমন লিখিত আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। ফলে তারা ৯ সেপ্টেম্বর ফ্যানগুলো খুলে নিয়ে যায়।আবার তারাই মঙ্গলবার সকালে এসে ১০টি বৈদ্যুতিক পাখা পুনরায় লাগিয়ে দিয়ে যায়।#