ট্রেন যাত্রায় উত্তরবঙ্গ সফর শেষে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশের মানুষ উন্নয়নের রাজনীতির পক্ষে
https://www.obolokon24.com/2018/09/saidpur_10.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য বিএনপি জোট দেশ বিদেশে বৈঠক করে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে। কারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিরোধীদল হওয়ার মতো যোগ্যতাও তাদের নেই। আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভ করার কোন সম্ভাবনা নেই। গেল ১০ বছরে ১০ টি আন্দোলনও গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। মূলতঃ তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ বিরোধী দল আন্দোলনে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে না। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন যাত্রায় উত্তরবঙ্গ সফর শেষে বিমানযোগে ঢাকা ফেরার প্রাক্কালে তিনি সৈয়দপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলেন। গতকাল (রবিবার) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন বিএনপি নির্বাচন থেকে পালাতে নাশকতা করার ছক আটছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের রাজনীতির পক্ষে। উত্তরবঙ্গে অনুষ্ঠিত পথ সভাগুলোতে জনগণের উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে। আওয়ামী লীগের পথসভাগুলো জনসভায় পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ তীব্র রোদে পুড়ে দাঁড়িয়ে ঘন্টায় পর ঘন্টা অপেক্ষা করে আমাদের উন্নয়নের রাজনীতির কথা শুনেছেন। ১১ টি নির্ধারিত সভার জায়গায় ১৮ টি সভা আমাদের করতে হয়েছে। প্রতিটি সভায় জনতার ঢল নামে। জনগনের বাঁধ ভাঙ্গা ¯্রােত আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের ইঙ্গিত দেয়। আর এসব সভায় নারীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
তাঁর নেতৃত্বে ট্রেনযাত্রায় সভা করতে গিয়ে ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে না হয়, সে জন্য ছুটির দিনে আমরা প্রোগ্রাম করেছি। তবে অনেক মিডিয়া গুজব সৃষ্টি করে তা জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। যা আদৌ কাম্য হতে পারে না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শেষে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমেনা কোহিনুর আলম প্রমুখ।
এর আগের দিন শনিবার রাত ৯ টায় সৈয়দপুর রেলষ্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত পথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভাত কাপড়, থাকার ঘর, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের অভাব নেই, অভাব আছে নৌকার মাঝির। বিরোধী পক্ষ জয়ের গান উচ্চারন করলে আমাদেরকেও জয়ের গান বলতে হবে, আর এ জন্য প্রয়োজন ১৫৮টি আসন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন পেতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। বিএনপির আমলে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেত। এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, এখন উৎপাদন হয় ১৮ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমান ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি মানুষের হাতেই মোবাইল ফোন। দেশের ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। তার কারণ বাংলাদেশ ডিজিটাল। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উপহার দিয়েছে শেখ হাসিনা। মানবতার মা শেখ হাসিনা মায়েদের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সন্তানের পরিচয়ে বাবার নামের সঙ্গে মায়ের নামও যুক্ত করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মায়েদের আর সেই সম্মান থাকবে না। বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা বিচারপতির আসনে বসেছে। তারা এখন ট্রেন, মোটরগাড়ি ও বিমান চালায়। দেশের তরুণ ও নারী ভোটাররাই আমাদের বিজয়ের প্রধান হাতিয়ার। তার কারণ তারাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোগী অংশ।
ওবায়দুল কাদের উর্দুভাষী (বিহারী) জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে বলেন আপনারাও এদেশের নাগরিক। বিগত দিনের মত বিহারী বিপদে নেই। আগামী দিনে নৌকায় ভোট দিয়ে আরো বেশি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন নেতিবাচক যারা রাজনীতি করে, মানুষ তাদের ভোট দিবে না। যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়. গাড়ি পোড়ায়, স্কুল পোড়ায়, সম্পদ ধ্বংস করে, তারা দেশের শত্রু। এদের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আগামী দিনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। বিএনপি এখন মরা গাঙ্গ। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য বিএনপি জোট দেশ বিদেশে বৈঠক করে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে। কারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিরোধীদল হওয়ার মতো যোগ্যতাও তাদের নেই। আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভ করার কোন সম্ভাবনা নেই। গেল ১০ বছরে ১০ টি আন্দোলনও গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। মূলতঃ তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ বিরোধী দল আন্দোলনে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে না। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন যাত্রায় উত্তরবঙ্গ সফর শেষে বিমানযোগে ঢাকা ফেরার প্রাক্কালে তিনি সৈয়দপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো বলেন। গতকাল (রবিবার) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন বিএনপি নির্বাচন থেকে পালাতে নাশকতা করার ছক আটছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের রাজনীতির পক্ষে। উত্তরবঙ্গে অনুষ্ঠিত পথ সভাগুলোতে জনগণের উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে। আওয়ামী লীগের পথসভাগুলো জনসভায় পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ তীব্র রোদে পুড়ে দাঁড়িয়ে ঘন্টায় পর ঘন্টা অপেক্ষা করে আমাদের উন্নয়নের রাজনীতির কথা শুনেছেন। ১১ টি নির্ধারিত সভার জায়গায় ১৮ টি সভা আমাদের করতে হয়েছে। প্রতিটি সভায় জনতার ঢল নামে। জনগনের বাঁধ ভাঙ্গা ¯্রােত আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের ইঙ্গিত দেয়। আর এসব সভায় নারীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
তাঁর নেতৃত্বে ট্রেনযাত্রায় সভা করতে গিয়ে ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে না হয়, সে জন্য ছুটির দিনে আমরা প্রোগ্রাম করেছি। তবে অনেক মিডিয়া গুজব সৃষ্টি করে তা জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। যা আদৌ কাম্য হতে পারে না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শেষে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমেনা কোহিনুর আলম প্রমুখ।
এর আগের দিন শনিবার রাত ৯ টায় সৈয়দপুর রেলষ্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত পথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভাত কাপড়, থাকার ঘর, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের অভাব নেই, অভাব আছে নৌকার মাঝির। বিরোধী পক্ষ জয়ের গান উচ্চারন করলে আমাদেরকেও জয়ের গান বলতে হবে, আর এ জন্য প্রয়োজন ১৫৮টি আসন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন পেতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। বিএনপির আমলে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেত। এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, এখন উৎপাদন হয় ১৮ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমান ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি মানুষের হাতেই মোবাইল ফোন। দেশের ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। তার কারণ বাংলাদেশ ডিজিটাল। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উপহার দিয়েছে শেখ হাসিনা। মানবতার মা শেখ হাসিনা মায়েদের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সন্তানের পরিচয়ে বাবার নামের সঙ্গে মায়ের নামও যুক্ত করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মায়েদের আর সেই সম্মান থাকবে না। বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা বিচারপতির আসনে বসেছে। তারা এখন ট্রেন, মোটরগাড়ি ও বিমান চালায়। দেশের তরুণ ও নারী ভোটাররাই আমাদের বিজয়ের প্রধান হাতিয়ার। তার কারণ তারাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোগী অংশ।
ওবায়দুল কাদের উর্দুভাষী (বিহারী) জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে বলেন আপনারাও এদেশের নাগরিক। বিগত দিনের মত বিহারী বিপদে নেই। আগামী দিনে নৌকায় ভোট দিয়ে আরো বেশি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন নেতিবাচক যারা রাজনীতি করে, মানুষ তাদের ভোট দিবে না। যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়. গাড়ি পোড়ায়, স্কুল পোড়ায়, সম্পদ ধ্বংস করে, তারা দেশের শত্রু। এদের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আগামী দিনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। বিএনপি এখন মরা গাঙ্গ। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।