চর্তুদেশীয় বাংলাবান্ধা বন্দরের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ,তদন্ত কমিটি গঠন
https://www.obolokon24.com/2018/09/panchagar.html
বাংলাদেশের একমাত্র চর্তুদেশীয় বন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা বন্দরের চার্জ
ফি না দিয়ে গেট ভেঙ্গে পণ্য খালাস করেছে । বাধা দেয়ায় লাঞ্চিত হয় বন্দর
কতৃপক্ষ। সকল প্রকার বাণিজ্য কার্য়ত্রম বন্ধ রেখে বন্দর বন্ধ ঘোষনা করে
কর্তপক্ষ। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে ৩ সদস্য বিশিস্ট কমিটি গঠন করে।
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা বন্দরে সরকারি চার্জ (ট্যারিফ) পরিশাধ না করে
বুধবার(৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বন্দরের গেট ভেঙ্গে পণ্য খালাস করছে
ভুটান থেকে আমদানি করা পাথর বোঝাই ১০৩টি ট্রাক। এর আগ ৫/৬ দিন যাবত গাড়ি
বোঝাই বিভিন্ন মালামালসহ ট্রাক আটকে ছিল বন্দর এলাকায়, ফলে ঐ কয়েকদিন অচল
ছিল বন্দরটি। গাড়ি আটক রাখা আর পণ্য খালাস এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দরে
সৃষ্টি হয় ক্ষোভ ও উত্তেজনা। পুরো বন্দর এলাকায় তান্ডব সৃষ্টি করে সিএনএফ
এজেন্ট ও ট্রাক চালকরা। পূর্বের প্রায় আড়াই কোটি টাকা সরকারী চার্জ বাকি
রয়েছে ৮-১০জন সিএনএফ এজেন্টদের কাছে। আবারও চার্জ ফি বাকি রেখে পণ্য খালাস
করার চেষ্টা চালায় তারা। বন্দর কতৃপক্ষ বাধা দিতে গেলে হামলা করে তাদের
উপর। ভয়ে বন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার
অভাবে রাতারাতি বন্দর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে হয়।এরই প্রেক্ষিতে জরুরী
ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সভাপতিতে জেলা প্রশাসকের
সম্মেলন কক্ষে ৩ ঘন্টার আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পুলিশ সুপার,বিজিবির
সিও,কাষ্টম্স, ডিসি,বন্দর কর্তপক্ষ,আমদানী-রপ্তানীকারক ও প্রশাসনের
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে সিএনএফ এজেন্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ
উপস্থিত ছিলেন না। বাংলাবান্ধা বন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও নিয়ম
অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্দরের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি
আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। আলোচনা সভায় ঘটনাটি পর্যবেক্ষনের লক্ষে ৩
সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।