জলঢাকা আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডাঃ বাদশা আলমগীরের গনসংযোগ

মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা প্রতিনিধিঃ

ডাঃ বাদশা আলমগীর ১৯৭৫ সালের ৮ অক্টোবর নীলফামারী  জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল গ্রামের জম্ম গ্রহণ করেন।
পিতা মরহুম মতিয়ার রহমান ছিলেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন আদর্শ প্রধান শিক্ষক এবং মাতা আলেম খাতুন একজন গৃহিণী। পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে ডাঃ বাদশা আলমগীর সবার বড়।
ছোট বেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। শিক্ষা জীবনে তিনি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজ এলাকা বিন্যাকুড়ি বিসি সরকার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি, রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৯২ সালে এইচ এসসি পাশ করেন এবং ২০০১ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করে চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
চাকুরী জীবনে প্রথমে তিনি ইউএসআইডি'র অর্থায়নে পরিচালিত সুর্যের হাসি ক্লিনিকে কক্সবাজার জেলায় ম্যানেজার পদে চিকিৎসা সেবার কাজ শুরু করেন। পরে তিনি কক্সবাজারে কক্স-ন্যাশনাল হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করে সাধারন মানুষের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কক্সবাজার উত্তরবঙ্গ কল্যান সমিতির "প্রেসিডেন্ট",  বাংলাদেশ মেডিকেল এসোশিয়েশন কক্সবাজারের "লাইভ মেম্বার", রোটারি ক্লাব কক্সবাজার সিটির "কমিউনিটি হেলথ ডিরেক্টর" ও সার্ক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওরগানাইজেশনের "সদস্য" হিসেবে সমাজ উন্নয়নের সাথে নিজেকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রেখেছেন
ডাঃ আলমগীর ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে জলঢাকা ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা জাতীয় পার্টির সমাবেশে বড় ধরনের শোডাউনের করে সাবেক প্রেসিডেন্ট পল্লীবন্ধু  হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে জলঢাকার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়।
এরপর তিনি ২০১৭ সালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। ২০১৮ সালে নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির অনুষ্ঠিত  কাউন্সিলে তিনি জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় থেকে জনমানুষের মুক্তির পথ হিসেবে এখন রাজনীতিই তার ধ্যান ধারনা। তার দৃঢ প্রত্যায় জম্মেছে এই অঞ্চলের  জনগণের দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ও আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদই  জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।
এরই ধারাবাহিকতায় ডাঃ বাদশা আলমগীর নীলফামারী -৩ নির্বাচনি আসনে গণসংযোগ শুরু করেছেন।
ডাঃ আলমগীর জলঢাকা পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নীলফামারী -৩ আসনে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করছেন। ইউনিয়নে ইউনিয়নে বিভিন্ন সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকে নিজেকে তুলে ধরছেন এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে লাঙ্গল  মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। অসহায়,গরিব মানুষের বিবাহ ও  ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছেন।  উপজেলার সর্বস্তরের ভোটার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা তার সাথে থেকে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি জলঢাকা উপজেলার ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করে বেড়াচ্ছেন এবং গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন সম্পর্কে উপজেলা ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রাজ বলেন জলঢাকা আসনে ৪জন হেভিয়েট প্রার্থী মনোনয়ন চাচ্ছে। পার্টির প্রধান যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার হয়ে কাজ করব। তবে ডাঃ বাদশা আলমগীর এই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়ে গনসংযোগ করায় উপজেলা জুড়ে লাঙ্গল মার্কার পক্ষে মানুষের ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা এলাকার লাঙ্গল ভক্ত খায়রুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান, হামার এলাকার ছাওয়া ডাঃ বাদশা আলমগীর পল্লীবন্ধু এরশাদের কাছের লোক  এবার নাঙ্গল মার্কা তাকেই দিবে।
মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ডাঃ বাদশা আলমগীর বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আমাকে নীলফামারী - ৩ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাঠে কাজ করার জন্য বলছে। আমি সংসদীয় আসনের প্রতিটা ইউনিয়নে লাঙ্গল মার্কার পক্ষে গণজোয়ার তৈরী করতে কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন জলঢাকা আসনের সর্বস্তরের ভোটাররা আমার সাথে রয়েছেন। তাই এই আসন আমি এরশাদ স্যারকে উপহার দিব ইনসাআল্লাহ।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7296287358589263951

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item