হরিপুরে কাশফুলের নরম ছোঁয়া
https://www.obolokon24.com/2018/09/Kashful.html
জে.ইতি হরিপুর(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দুই মাস পর পরই আমাদের দেশে ঋতু পরিবর্তন হয়।
এই ঋতু পরিবর্তনে এখন বইছে শরৎকাল। আর প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় শরতের আগমনী বার্তা। শরতের বিকালে নীল আকাশের নিচে দোলা খায় শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির পালা বদলের খেলা এখন চলছে শরতের মাঝামাঝি সময়। কিন্ত বিদেশের মাটিতে থাকা প্রত্যেক বাঙালিই শরতকে খুব মিস করে। এখন বাংলাদেশের চার দেয়ালের বাইরে প্রকৃতিতে চোখ রাখলে ধরা পড়ে শরৎ-প্রকৃতির মোহনীয় রুপ।
কাচের মতো স্বচ্ছ নীল আকাশে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘের ভেলার ছোটাছোটি, নদীর ধারে কিংবা গ্রামের কোনো প্রান্তে মৃদু সমীরণে দোল খাওয়া শুভ্র কাশফুলের ¯িœগ্ধতা, গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ আর বর্ষায় অঝোরধারায় শ্রাবণ ঢলের পর আসে শরতের রৌদ্রছায়ার খেলা-এই মেঘ, এই বৃষ্টি, আবার এই রোদ। আরও থাকে বিল ও ঝিলের পানিতে শাপলা শালুক ফুলের সুন্দর মায়াবী দৃশ্যের সমারোহ। গতকাল মাশানগাঁও সড়ক দিয়ে উপজেলা যাওয়া পথে দেখা মিলে মোহনীয় রুপ। উপজেলার সীমান্ত এলাকায় খোদ দেখা মিলে কুলিক এবং নাগর নদীর তীরে।
শরতের ¯িœগ্ধ জ্যোৎ¯œার রাত্রি ভালোলাগা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
শরতকালেই সকাল বেলায় কুয়াশা পড়া শুরু হয়। শরতের সকাল বেলার কুয়াশা মাড়িয়ে খালি পায়ে চলতে কার না মন চাই। সে এক আনন্দময় সুখকর স্মৃতি। সেই সাথে কুয়াশার উপরে যখন সকালের সোনালী রবির আলো এসে পড়ে তখন শিশির বিন্দু মুক্তার দানার মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠে। সেই দৃশ্য আরও চমৎকার। দাখিনের সমীরণ খুলে শরতের নির্মল ¯িœগ্ধ কোমল চাঁদের আলো সবার কন্ঠকেই সুরময় করে তুলে। এই তো সময় মন আমার হারিয়ে যাওয়ার।
এছাড়াও মাঠে মাঠে বর্ষাও সবুজ ধানের ওপর সোনালি আলোর ঝলমলানির মুগ্ধতা।
আলোক-শিশিরে-কুসুমে-ধান্যে বাংলার প্রকৃতিও খুশি। শরতের শান্ত বিলের পানিতে যেন আকাশের মেঘ বালিকা নেমে এসেছে।
উপজেলার বিলগুলোর পানিতে আকাশ মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর প্রতিচ্ছবি দেখে কার না মন আনন্দে নেচে উঠে। সেই সাথে পদ্ম শাপলা শালুক ফুল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের মৌ মৌ সুবাসিত গন্ধ মন ভালো না হয়ে পারে কি। এমনই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে আপনার মন ফিরে আসতে মানা করবেই। শত কাদাময় মনে কে মুহূর্তের মধ্যেই পবিত্র কোমল নির্মল স্বচ্ছ মন তৈরি করতে পারে শরৎ এমনটাই মনে করেন বাংলা সাহিত্যের অনেক কবি সাহিত্যিক। আর তাঁরা প্রাণভরে লিখেছেন শরৎ নিয়ে বাংলা কবিতা।
জানা গেছে,শরৎকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক! শিউলি ফুল, স্বচ্ছ আকাশ মায়াবী জ্যোৎ¯œার করণেই এমন নাম হয়েছে। তবে এর মধ্যে অন্যতম কাশফুল। প্রাচীনকাল থেকেই এ এলাকায় মাঠে-ঘাঠে কাশফুলের দেখা মিলে। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে এলাকায় কাশফুল ছিল। উপজেলার সব অঞ্চলেই যেমন- নদী ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল শুকনো রুক্ষ এলাকা কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। কাশফুলের জাত ভাইয়ের নাম কুশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘পুরাণ’-এ কুশের স্থান খুব উঁচুতে। সেখানে ব্রাহ্মণ বড় নাকি কুশ বড় এই নিয়ে বিবাদও লক্ষ্য করা যায়।
শেষ পর্যন্ত কুশকে ব্রাহ্মণের প্রতিভূ হিসাবে স্থান দেয়া হয়েছে। আর এর পেছনের কারণ হল ঔষধি গুণ। যেমন- পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশমূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দূর্গন্ধ দূর হয়।
এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহার হয়।
কাশফুলের উদ্ভিদতাত্ত্বিক বৈজ্ঞানিক নাম হল ংধপপযধৎঁস ংঢ়ড়হঃধহবঁস. এরা ঘাসজাতীয় জলজ উদ্ভিদ।
শরতের অন্যতম আকর্ষণ কাশবন। কাশফুল। কাশ তৃণ বা ঘাস জাতীয় ফুলগাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিরল পাতার দু’ধারে খুবেই ধার। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রঙ ধবদবে সাদা। কাশগাছ ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। শরৎকালে কাশগাছে সাদা ও রুপালি রঙের ফুল ফোটে।
উপজেলার সীমান্ত জুড়ে দু’ নদীর তীরে দেখতে পাওয়া যায় কাশফুলের সমারোহ।
চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দুই মাস পর পরই আমাদের দেশে ঋতু পরিবর্তন হয়।
এই ঋতু পরিবর্তনে এখন বইছে শরৎকাল। আর প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় শরতের আগমনী বার্তা। শরতের বিকালে নীল আকাশের নিচে দোলা খায় শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির পালা বদলের খেলা এখন চলছে শরতের মাঝামাঝি সময়। কিন্ত বিদেশের মাটিতে থাকা প্রত্যেক বাঙালিই শরতকে খুব মিস করে। এখন বাংলাদেশের চার দেয়ালের বাইরে প্রকৃতিতে চোখ রাখলে ধরা পড়ে শরৎ-প্রকৃতির মোহনীয় রুপ।
কাচের মতো স্বচ্ছ নীল আকাশে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘের ভেলার ছোটাছোটি, নদীর ধারে কিংবা গ্রামের কোনো প্রান্তে মৃদু সমীরণে দোল খাওয়া শুভ্র কাশফুলের ¯িœগ্ধতা, গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ আর বর্ষায় অঝোরধারায় শ্রাবণ ঢলের পর আসে শরতের রৌদ্রছায়ার খেলা-এই মেঘ, এই বৃষ্টি, আবার এই রোদ। আরও থাকে বিল ও ঝিলের পানিতে শাপলা শালুক ফুলের সুন্দর মায়াবী দৃশ্যের সমারোহ। গতকাল মাশানগাঁও সড়ক দিয়ে উপজেলা যাওয়া পথে দেখা মিলে মোহনীয় রুপ। উপজেলার সীমান্ত এলাকায় খোদ দেখা মিলে কুলিক এবং নাগর নদীর তীরে।
শরতের ¯িœগ্ধ জ্যোৎ¯œার রাত্রি ভালোলাগা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।
শরতকালেই সকাল বেলায় কুয়াশা পড়া শুরু হয়। শরতের সকাল বেলার কুয়াশা মাড়িয়ে খালি পায়ে চলতে কার না মন চাই। সে এক আনন্দময় সুখকর স্মৃতি। সেই সাথে কুয়াশার উপরে যখন সকালের সোনালী রবির আলো এসে পড়ে তখন শিশির বিন্দু মুক্তার দানার মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠে। সেই দৃশ্য আরও চমৎকার। দাখিনের সমীরণ খুলে শরতের নির্মল ¯িœগ্ধ কোমল চাঁদের আলো সবার কন্ঠকেই সুরময় করে তুলে। এই তো সময় মন আমার হারিয়ে যাওয়ার।
এছাড়াও মাঠে মাঠে বর্ষাও সবুজ ধানের ওপর সোনালি আলোর ঝলমলানির মুগ্ধতা।
আলোক-শিশিরে-কুসুমে-ধান্যে বাংলার প্রকৃতিও খুশি। শরতের শান্ত বিলের পানিতে যেন আকাশের মেঘ বালিকা নেমে এসেছে।
উপজেলার বিলগুলোর পানিতে আকাশ মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর প্রতিচ্ছবি দেখে কার না মন আনন্দে নেচে উঠে। সেই সাথে পদ্ম শাপলা শালুক ফুল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের মৌ মৌ সুবাসিত গন্ধ মন ভালো না হয়ে পারে কি। এমনই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে আপনার মন ফিরে আসতে মানা করবেই। শত কাদাময় মনে কে মুহূর্তের মধ্যেই পবিত্র কোমল নির্মল স্বচ্ছ মন তৈরি করতে পারে শরৎ এমনটাই মনে করেন বাংলা সাহিত্যের অনেক কবি সাহিত্যিক। আর তাঁরা প্রাণভরে লিখেছেন শরৎ নিয়ে বাংলা কবিতা।
জানা গেছে,শরৎকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক! শিউলি ফুল, স্বচ্ছ আকাশ মায়াবী জ্যোৎ¯œার করণেই এমন নাম হয়েছে। তবে এর মধ্যে অন্যতম কাশফুল। প্রাচীনকাল থেকেই এ এলাকায় মাঠে-ঘাঠে কাশফুলের দেখা মিলে। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে এলাকায় কাশফুল ছিল। উপজেলার সব অঞ্চলেই যেমন- নদী ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল শুকনো রুক্ষ এলাকা কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। কাশফুলের জাত ভাইয়ের নাম কুশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘পুরাণ’-এ কুশের স্থান খুব উঁচুতে। সেখানে ব্রাহ্মণ বড় নাকি কুশ বড় এই নিয়ে বিবাদও লক্ষ্য করা যায়।
শেষ পর্যন্ত কুশকে ব্রাহ্মণের প্রতিভূ হিসাবে স্থান দেয়া হয়েছে। আর এর পেছনের কারণ হল ঔষধি গুণ। যেমন- পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশমূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দূর্গন্ধ দূর হয়।
এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহার হয়।
কাশফুলের উদ্ভিদতাত্ত্বিক বৈজ্ঞানিক নাম হল ংধপপযধৎঁস ংঢ়ড়হঃধহবঁস. এরা ঘাসজাতীয় জলজ উদ্ভিদ।
শরতের অন্যতম আকর্ষণ কাশবন। কাশফুল। কাশ তৃণ বা ঘাস জাতীয় ফুলগাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিরল পাতার দু’ধারে খুবেই ধার। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রঙ ধবদবে সাদা। কাশগাছ ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। শরৎকালে কাশগাছে সাদা ও রুপালি রঙের ফুল ফোটে।
উপজেলার সীমান্ত জুড়ে দু’ নদীর তীরে দেখতে পাওয়া যায় কাশফুলের সমারোহ।
চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।