রংপুরে আন্ত: জেলা বাস ধর্মঘটে ভোগান্তি
https://www.obolokon24.com/2018/09/Bus-strike.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল
সড়ক পরিবহণ আইনে বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালিয়ে কেউ আহত বা নিহত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডের বিধান রাখার প্রতিবাদে অঘোষিতভাবে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু করেছে রংপুরের আন্ত:জেলা পরিবহণ শ্রমিকরা।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন লোকাল বাসটার্মিনাল থেকে আন্ত:জেলা পরিবহণের কোন বাস চলাচল করছেনা। তবে বিআরটিসি বাস চলাচল করলেও তা যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে পারছেনা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
সরেজমিন পরিদর্শনে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মর্ডাণ মোড়, সাতমাথার লালমনিরহাট-পাটগ্রাম বাসষ্ট্রান্ড ও কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এ দেখা যায়, রংপুর থেকে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, গাইবান্দাগামী কোন বাস চলাচল করছেনা। বাস চালক ও শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন হয় শুয়ে থেকে অথবা খোশ গল্প করে।
এদিকে মেডিকেল মোড় বাস স্টান্ড থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও গামী সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম গামী লোকাল বাসও বন্ধ রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু একটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অটোরিকশা বা স্বল্পপাল্লার যানবাহনে চলাচল করছেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে মেডিকেল মোড় এলাকায় কথা হয় ঢাকা থেকে আসা পঞ্চগড় গামী আশরাফুল আলম ও সামসুন নাহার নবদম্পতির সাথে। তারা জানান, সকাল থেকে এখানে বাসের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু কোন বাস পাচ্ছিনা। এতগুলো ব্যাগ-বস্তা নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছি। কি করবো বুঝতে পারছিনা।
দিনাজপুর গামী আরেক অপেক্ষারত বৃদ্ধা যাত্রী হোমায়রা বেগম ক্ষোভের সাথে বলেন, হামরা হইনো ফুটবলের মতো। সবায় খালি সটায়ে নিয়া বেড়ায়। কেউ হামার কস্ট বোঝেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাস চালক বলেন, নতুন সড়ক আইনের প্রতিবাদে অঘোষিতভাবে আমরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে রংপুর মটর শ্রমিক সমিতির সাধারণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তারা হয়তো নতুন আইনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদেরকে কাজে ফেরানোর চেস্টা চালাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নতুন সড়ক পরিবহণ আইন অনুযায়ী বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ আহত বা নিহত হলে দন্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায় মামলা দায়ের হবে। আর এই ধারায় সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমান এই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদন্ডের বিধান আছে।
সড়ক পরিবহণ আইনে বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালিয়ে কেউ আহত বা নিহত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডের বিধান রাখার প্রতিবাদে অঘোষিতভাবে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু করেছে রংপুরের আন্ত:জেলা পরিবহণ শ্রমিকরা।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন লোকাল বাসটার্মিনাল থেকে আন্ত:জেলা পরিবহণের কোন বাস চলাচল করছেনা। তবে বিআরটিসি বাস চলাচল করলেও তা যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে পারছেনা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
সরেজমিন পরিদর্শনে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মর্ডাণ মোড়, সাতমাথার লালমনিরহাট-পাটগ্রাম বাসষ্ট্রান্ড ও কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এ দেখা যায়, রংপুর থেকে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, গাইবান্দাগামী কোন বাস চলাচল করছেনা। বাস চালক ও শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন হয় শুয়ে থেকে অথবা খোশ গল্প করে।
এদিকে মেডিকেল মোড় বাস স্টান্ড থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও গামী সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম গামী লোকাল বাসও বন্ধ রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু একটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অটোরিকশা বা স্বল্পপাল্লার যানবাহনে চলাচল করছেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে মেডিকেল মোড় এলাকায় কথা হয় ঢাকা থেকে আসা পঞ্চগড় গামী আশরাফুল আলম ও সামসুন নাহার নবদম্পতির সাথে। তারা জানান, সকাল থেকে এখানে বাসের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু কোন বাস পাচ্ছিনা। এতগুলো ব্যাগ-বস্তা নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছি। কি করবো বুঝতে পারছিনা।
দিনাজপুর গামী আরেক অপেক্ষারত বৃদ্ধা যাত্রী হোমায়রা বেগম ক্ষোভের সাথে বলেন, হামরা হইনো ফুটবলের মতো। সবায় খালি সটায়ে নিয়া বেড়ায়। কেউ হামার কস্ট বোঝেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাস চালক বলেন, নতুন সড়ক আইনের প্রতিবাদে অঘোষিতভাবে আমরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে রংপুর মটর শ্রমিক সমিতির সাধারণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তারা হয়তো নতুন আইনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদেরকে কাজে ফেরানোর চেস্টা চালাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নতুন সড়ক পরিবহণ আইন অনুযায়ী বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ আহত বা নিহত হলে দন্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায় মামলা দায়ের হবে। আর এই ধারায় সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমান এই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদন্ডের বিধান আছে।