নীলফামারীতে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী পালিয়ে গেল হত্যার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর॥
লবন আনতে দেরী হওয়ায় আর্জিনা বেগম(৩৫) নামের দুই সন্তানের  জননীকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালের বারান্দায় মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী। শুক্রবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ হাসপাতাল হতে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
অভিযোগে জানা যায়, ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের শুকুর আলী মেয়ে আর্জিনা বেগমের। তার সঙ্গে বিয়ে হয় ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলামের। এই দম্পক্তির ঘরে মনির হোসেন (১২) ও জাহিমা বেগম (৬) নামে দুটি সন্তান  রয়েছে।
 এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভাত খাওয়ার সময় স্বামী লবন চায়। লবন আনতে দেরী হওয়ায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ তুলে স্বামী জাহিদুল ইসলাম তাকে  লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত চলে স্ত্রীর উপর নির্যাতন। এতে রক্তাত্ব জখমে আর্জিনা মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে।
অভিযোগ মতে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহে শুক্রবার  সকালে মৃত আর্জিনার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে স্বামী ও দুই দেবর হাসপাতালে এনে ভর্তির চেষ্টা করে। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আর্জিনা বেগমের মৃত নিশ্চিত করে শরীরে আঘাতের রত্বাক্ত জখমের কথা জানতে চাইলে স্বামী ও দুই দেবর হাসপাতালে আর্জিনার লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আর্জিনার বাবার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসে।
নিহত আর্জিনার মা সালেহা বেগম (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার জামাই। 
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন এটি হত্যা না আতœহত্যা এ নিয়ে রহস্য রয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।# 

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2015370028305652013

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item