নতুন পাটে স্বপ্ন দেখছে ঠাকুরগাঁয়ের কৃষকরা

আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও-
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ভোলার ভেলাজান, পাট কাটার হিড়িক পড়েছে। ইতোমধ্যে পাট ধুয়ে শুকানের কাজে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকরা। নতুন পাট নিয়ে স্বপ্নে বুক বেঁধেছেন তারা। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে নতুন পাট বাজারে আসার অপেক্ষায় নতুন পাট।

 ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এবারে জেলা পাটচাষ হয়েছে অনেক হেক্টর জমিতে।চাষিরা পাট কাটা, জাগ দেয়া ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর ক’দিন পরেই নতুন পাট বাজারে আসবে। দাম মোটামুটি থাকায় এবং ক্ষুদ্র পাটকল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পাটের আবাদ বেশি হচ্ছে। দেশি পাটের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য আবিষ্কার, পাটপণ্যের দ্বিগুণ রপ্তানি বৃদ্ধি, পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলকসহ ব্যবহারে বহুমাত্রিকতা বেড়

তবে কৃষকরা বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকলেও তাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। তাদের দাবি, সরকার যেন ধানের মত পাটেরও বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যাতে করে দালাল ও ফড়িয়ারা দাম নিয়ে সুজগ নিতে না পারে। কৃষকরা বলেন, পাটের একবছর সুদিন এবং আরেক বছর দুর্দিন। তবে এবার চাষিরা পাটের সুদিনের প্রত্যাশায় বুক বেধেছেন বলে জানাচ্ছেন তারা

গত কয়েকদিনে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতে ডোবা নালা পানি থাকায় জাগে একদিকে সুবিধা এবং অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কম হবে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও  উপজেলার মলানি গ্রামের কৃষক সামশুদ্দিন মন্ডল। তার মতো অনেক চাষির দাবি প্রতি মণ পাটের দাম ১৯শ’ টাকার ওপরে যেন পাটের বাজার থাকে। নইলে এবারো চাষিদের লোকসান গুণতে হবে। বর্তমানে পুরাতন মানসম্পন্ন প্রতি মন পাটের দাম ১৮শ’ টাকা। চাষিরা পাটে ভাল দাম পাওয়া প্রতীক্ষায় রয়েছে