সৈয়দপুর পৌর মেয়রের কান্ড! এলাকায় তোলপাড়

বিশেষ প্রতিনিধি ২১ আগস্ট॥
বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের নোটিশে ক্ষিপ্ত হয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দপুর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার। আর এই ক্ষিপ্ততায় মেয়র আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) ভোরে ড্রেনের ময়লা দিয়ে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ অফিসের প্রধান ফটক ভরিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকা সহ এলাকাটি ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধে ভরিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি হলে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রায় ৬ ঘন্টা পর পৌরসভা কর্মচারীরা ওই ময়লা আবর্জনা অপসারন করে নেয়।

নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) সৈয়দপুর বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী স্পন্ধন বসাক জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার দীর্ঘ দিনের বিদ্যুতের বকেয়া বিল হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এটি পরিশোধের জন্য পৌরসভায় নোটিশ পাঠানো হয়। বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান করায় সৈয়দপুর পৌরসভা মেয়র ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গতকাল সোমবার (২০ আগস্ট) তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকেও মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
বোনের মৃত্যুর কারণে নির্বাহী প্রকৌশলীর পরিবর্তে আমি দায়িত্বে থাকায় অফিসিয়াল মোবাইলটি (০১৭৫৫৫৮৪৮৯৬ নাম্বার) আমার কাছে ছিল। সে সুবাদে মেয়র এই ০১৮৩৯৯৩৩২৭০ নাম্বার থেকে কল করে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি আমি নিজেই শুনেছি।

তিনি জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার প্রতিমাসে প্রায় ৫ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল হয়। তারা সে বিল নিয়মিত পরিশোধ করেন না। প্রতি অর্থবছরের শেষে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগের পৌর কর বাবদ আমরা প্রায় ৩৯ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা পরিশোধ করি। এসময় পৌরসভার বিদ্যুৎ বিলের সাথে বকেয়া বিল সমন্বয় করার জন্য বলা হয়। কিন্তু পৌর মেয়র তা না করায় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে সৈয়দপুর পৌরসভার।
তিনি আরো জানান, বকেয়া এ বিল দেয়ার জন্য গত সপ্তাহে নোটিশ প্রদান করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার কর্মচারীদের দিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের প্রধান ফটকে আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ড্রেনের নোংরা ময়লা আবর্জনা প্রধান ফটকে ফেলে বিদ্যুৎ অফিসে চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে অফিসে প্রবেশে আমরা চরম সমস্যায় পড়ি, সেই সাথে জরুরী প্রয়োজনে আমাদের গাড়ি বাইরে যেতে না পারায় গ্রাহকদের ডাকে সারা দেয়ার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। এমনকি ফজরের নামাজের সময় মুসল্লিরা অফিস ক্যাম্পাসের মসজিদে প্রবেশ করতে পারেনি।

পরে বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। এরপর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে সরিয়ে নেয়।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বজলুর রশীদ জানান, বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয় তাদের অফিসের সামনে কে বা কাহারা ময়লা ফেলেছে। আমি ময়লাগুলো অপসারণে মেয়রকে অনুরোধ করি তিনি তা অপসারণের ব্যবস্থা করেন।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক সৈয়দপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলার চেস্টা করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2100110645707323537

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item